বাংলাদেশের জন্য ফেসবুককে পলিসি গ্রহণের পরামর্শ


বাংলাদেশের জন্য ফেসবুককে পলিসি গ্রহণের পরামর্শ

ছবি : সংগৃহীত

 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুককে বাংলাদেশের সামাজিক ব্যবস্থা বিবেচনায় পলিসি গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল।

২০ সেপ্টেম্বর, সোমবার এই পরামর্শ দেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল।

আদালত জানান, আমাদের সমাজ, মানুষের বিশ্বাস, মূল্যবোধ, ধর্মীয়বোধ ও সংস্কৃতি, পারস্পরিক সম্পর্ক, সামাজিক রীতি-নীতি আমাদের মতো। এটি উন্নত দেশের মতো করে একই নীতিতে মূল্যায়ন বাস্তবসম্মত নয়’।

কোনো সাইবার ক্রাইম হলে দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকেই ফেসবুককে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তা একত্রে উন্মোচন, উৎঘাটন, দমন ও শাস্তি আরোপে পারস্পরিক সহযোগিতা কাম্য বলেও জানান আদালত।

এ বিষয়ে ফেসবুককে ৩টি সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দিয়েছেন আদালত, সেগুলো হলো-

১. ফেক আইডি হলো সাইবার অপরাধের সূতিকাগার। একই ব্যক্তির নামে-বেনামে একাধিক আইডি খোলার অপশন চালু রাখা সাইবার নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তাই ফেক আইডি প্রতিরোধে ফেসবুকের পক্ষ থেকে কার্যকর ভূমিকা কাম্য।

২. ফেসবুকে পোস্টকৃত কোনো নারী ও শিশুর ছবি বা ভিডিও যাতে অনুমতি ছাড়া কেউ ডাউনলোড করতে না পারে, এমন সিকিউরিটি থাকতে হবে। নারী ও শিশুর ছবি বা ভিডিও বিকৃত করে কেউ যেন ফেসবুক বা মেসেঞ্জারে প্রকাশ ও প্রচার না করতে পারে বা অভব্য কমেন্ট বা শেয়ার না করতে পারে সেজন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর নিরাপত্তা ফিচার জোরদার জরুরি।

৩. কারও ধর্মীয় মূল্যবোধে বা অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে এমন কোনো কনটেন্ট প্রকাশ ও প্রচারের ক্ষেত্রে যথাসম্ভব দ্রুত উৎঘাটন করে প্রয়োজনে সে ধরণের কনটেন্ট প্রকাশ ও প্রচারে বাধা এবং তা দ্রুত অন্তর্জাল হতে সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করা দরকার। সাইবার ওয়ার্ল্ডকে অস্বীকার করা যাবে না। সার্বিক বিবেচনায় সাইবার বুলিং প্রতিরোধে ফেসবুকের কাছে আরও কার্যকর ভূমিকা কাম্য।

আদালত জানান, তাই নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর সাইবার স্পেসের জন্য শিক্ষা, সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।

ফেসবুকের উচিত নিরাপদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার কীভাবে করতে হয়, অন্তর্জালে কোনটা করা যায় আর কোনটা যায় না, কমেন্ট বা শেয়ার বা ট্যাগ কীভাবে আরও নিরাপদ করা যায়, তা সহজ ভাষায় সহজভাবে শিক্ষণীয় কনটেন্ট আকারে প্রকাশ ও প্রচার করা যাতে করে ইউজাররা দায়িত্বশীল নেটিজেন হতে পারেন বলেও পরামর্শ দিয়েছেন আদালত।