জয়ী হলে কে কী করবেন?


জয়ী হলে কে কী করবেন?

জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির ২০২১-২২ মেয়াদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। আজ বৃহস্পতিবার ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। 

এর আগে, নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্লাবে বাড়তি সময় দিয়েছেন প্রার্থীরা। সাধারণ সদস্যদের মধ্যেও দেখা গেছে ভোটের আমেজ। যে কোন নির্বাচনের মতোই জাতীয় প্রেস ক্লাব নির্বাচনেও নানান প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভোটে অংশ নেয়া প্যানেলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। 

ইশতেহারে কী অঙ্গীকার করেছেন, প্রার্থীরা?

এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দুটি প্যানেলের মধ্যে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন সভাপতি ও ওমর ফারুক সাধারণ সম্পাদকের একটি প্যানেল। অপরটি সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ইলিয়াস খানের নেতৃত্বাধীন পরিষদ। 

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম ফরিদা-ফারুক পরিষদ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বঙ্গবন্ধু মিডিয়া কমপ্লেক্স নির্মাণ, যোগ্য সাংবাদিকদের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য পদ প্রদান, সদস্যদের জন্য সুযোগ সুবিধা আরও বাড়ানো এবং জাতীয় প্রেসক্লাবকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পেশার মানোন্নয়নের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছেন। 
অন্যদিকে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরামের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সবুজ-ইলিয়াস পরিষদ লম্বা অঙ্গীকার করে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করে। 

অঙ্গীকারে, জাতীয় প্রেসক্লাবের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার, যোগ্য সাংবাদিকদের সদস্যপদ দেয়া, গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, মুক্ত গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের অধিকার সংরক্ষণের কথা বলেছে। একই সঙ্গে ক্লাবের নবীন-প্রবীণ সকল সদস্যের স্বার্থ সংরক্ষণ, কল্যাণ ফান্ডের সদস্য-পরিবারকে আর্থিক সহায়তা তিন লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকায় উন্নীতকরণের অঙ্গীকারও করেছে সবুজ-ইলিয়াস পরিষদ। 

এছাড়া ক্যান্টিনের আধুনিকায়ন ও উন্নত মানের খাবার দেয়া, পাঠাগার ও মিডিয়া সেন্টারের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো ও নিয়মিত বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান আয়োজন এবং প্রস্তাবিত জাতীয় প্রেস ক্লাব বহুতল মিডিয়া কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণসহ ক্লাবের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনের কথা জানিয়েছে এই প্যানেলটি। 

আজ বিকেল পাঁচটায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হবে। এরপর নতুন নির্বাচিত কমিটি তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি কতটুকু বাস্তবায়ন করে দেখার বিষয়।