সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসেব তলব, বিএফইউজে-ডিইউজের উদ্বেগ


সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসেব তলব, বিএফইউজে-ডিইউজের উদ্বেগ

ছবি : সংগৃহীত

 

১১ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসেব তলবের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন -বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে নির্বাহী পরিষদ। ১৪ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার এক যুক্ত বিবৃতিতে এ উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংগঠন দুটি।

সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষা ও অধিকার আদায়ে সংগ্রামরত সাংবাদিক সংগঠনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং এর নির্বাচিত নেতাদের হেয় করার মাধ্যমে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করাকেই সাংবাদিকদের ব্যাংক হিসেব তলবের কারণ বলে মনে করছে সংগঠন দুটির নির্বাহী পরিষদ।

একই সাথে অবিলম্বে এ ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তৎপরতা বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দুই নির্বাহী পরিষদ।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্বশীল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি সংগঠনের ১১ জনের নাম রয়েছে ওই তালিকায়। ঢাকাসহ সারাদেশের কয়েক হাজার পেশাদার সাংবাদিকের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে তারা দায়িত্ব পালন করছেন। বিশেষত বহু সংখ্যক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বন্ধ, দীর্ঘ সময়ের বেকারত্ব, চাকরিচ্যুতি, মাসের পর মাস বেতন-ভাতা বকেয়ার মত বৈরি পরিস্থিতি মোকাবেলা করে টিকে থাকার সংগ্রাম করছেন কর্মরত সাংবাদিকেরা। কোনো বিশেষ নেতার বা সাংবাদিকের ব্যাংক হিসেবে অস্বাভাবিক লেনদেন বা অর্থ পাচারের সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকলে তার বিরদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। কিন্তু ঢালাওভাবে সংগঠনের শীর্ষ পদে নির্বাচিতদের আর্থিক লেনদেন তলব সাংবাদিক সংগঠন ও এর নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং হেয় করার দুরভিসন্ধি কী না সে প্রশ্ন উঠেছে।

সাংবাদিকের ব্যাংক হিসেব তলবের মতো পদক্ষেপের যৌক্তিকতা নেই উল্লেখ করে বিবৃতিতে দুই সংগঠনের সাংবাদিক নেতারা বলেন,  অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের হিসেব বিবরণও একই সাথে তলব করা হলে দেশে হাজারো কোটি টাকা লুটপাটের যেসব চাঞ্চল্যকর খবর প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমে আসছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিলে এ পদক্ষেপের যৌক্তিকতা পাওয়া যেত।

বিএফইউজে ও ডিইউজে নির্বাহী পরিষদ মনে করে, দেশে এমনিতে গণমাধ্যম সঙ্কটকাল অতিক্রম করছে। স্বাধীন ও সাহসী সাংবাদিকতার পরিবেশ বিপন্ন। এমন নাজুক পরিস্থিতিতে ঢালাওভাবে সাংবাদিক সংগঠন ও নেতাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপপ্রয়াস সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের মধ্যে নতুন করে চাপ ও আতঙ্ক সৃষ্টি ছাড়াও জনমনে ভুল বার্তা দেবে।