তালেবানের পুনরুত্থান : উপমহাদেশে শিল্প, সাংস্কৃতিক ঝুঁকি


তালেবানের পুনরুত্থান : উপমহাদেশে শিল্প, সাংস্কৃতিক ঝুঁকি

ছবি : সংগৃহীত

 

আবু রায়হান, বিজেসি নিউজ: ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে ইখতিয়ার উদ্দিন বিন বখতিয়ার খলজির আগমনের মাধ্যমে উপমহাদেশে ইসলাম ধর্মের বিকাশ ঘটে। প্রায় ৮০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এ অঞ্চলে ওয়াহাবি, দেওবন্দ, সুফিবাদসহ নানানভাবে ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটেছে।

ইসলাম ধর্মকে ঘিরে রাজনৈতিক এ অঞ্চলে রাজনৈতিক মেরুকরণও কম হয়নি। ১৮৫৭ সালে হিন্দু- মুসলিম বিভাজনের মাধ্যমে উপমহাদেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা বিস্তারে ব্রিটিশ শাসকদের ভূমিকার কথা শোনা যায়। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ এবং পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালের দেশভাগের ঘটনায় ধর্মই প্রধান প্রভাবক হিসেবে ভূমিকা পালন করে। এসকল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উপমহাদেশে রাজনীতিতে ধর্মের প্রভাব এখন যেকোনো কিছুর চাইতেই শক্তিশালী।

 

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ইসলামিক গোষ্ঠী শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার পক্ষে কথা বলে যাচ্ছে। আশির দশকে অনেক বাংলাদেশি যুবক শরিয়া প্রতিষ্ঠার লক্ষে আফগানিস্তানে সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। আবার তারা ফিরে এসে বাংলাদেশে বিভিন্ন উগ্র-ইসলামপন্থী সংগঠন তৈরির চেষ্টা করেছে। এদের মধ্যে আব্দুর রহমান এবং মুফতি আব্দুল হান্নান অন্যতম।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আফগানিস্তানে তালেবান শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে অনেক যুবকই শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আফগানিস্তানে পাড়ি দেয়। এরইমধ্যে ২০০১ সালে রমনার বটমূলে বোমা হামলা, ২০০৫ সালে ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালানো হয়। মূলত আফগানিস্তানে তালেবান শাসন প্রতিষ্ঠার পরপর বাংলাদেশে বিভিন্ন উগ্র-ইসলামপন্থী শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।

 

ছবি : সংগৃহীত

সম্প্রতি আফগানিস্তানে বিশ বছর পর তালেবানদের হাতে ক্ষমতা যাওয়ায় পুনরায় উগ্র-ইসলামপন্থী শক্তির বিকাশের সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে। এ বিষয়ে বিশিষ্টজনদের সাথে কথা বলেছে বিজেসি নিউজ।

বাংলাদেশের উগ্র-জঙ্গী গোষ্ঠীর বিকাশের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন প্রখ্যাত নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক মামুনুর রশিদ। আফগানিস্তানে তালেবান উত্থানের ফলে বাংলাদেশে অবস্থান করা জঙ্গী গোষ্ঠী উৎসাহ পাবে বলে মনে করেন এই সাংস্কৃতিক এই ব্যক্তিত্ব।

মামুনুর রশীদ বলেন, ‘ওয়াজের সংস্কৃতি, হিজাবের ব্যবহার ইত্যাদির মাধ্যমে সাংস্কৃতিকভাবে বাংলাদেশে এক ধরণের ধস নেমেছে। সেই ধসের মধ্যে এই গোষ্ঠীগুলো কাজ করার চেষ্টা করবে। আমরা যদি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা না করতে পারি তাহলে আমাদের জন্য তা ক্ষতিকর’।

 

ছবি : সংগৃহীত

সম্প্রতি তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর সেখানে শ্রেণিকক্ষে নারী-পুরুষের মাঝে পর্দা দিয়ে ক্লাস নেয়ার বিধান চালু হয়েছে। বাংলাদেশে এমন কোন ঘটনার সম্ভাবনা দেখছেন কী না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ ধরণের কোনো কিছু বাংলাদেশে করার চেষ্টা হলে আমরা তা মানবো না। বরং এখন সময় এসেছে মাদরাসা বন্ধ করে দিয়ে ইংলিশ ভার্সন, মিডিয়ামসহ সবকিছুর সমন্বয়ে  একমুখী একটা শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করার। পৃথিবীর সকল দেশেই একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। মাদরাসার মধ্যে শুধু আলিয়া মাদরাসার ‘নিউ স্কিম’ রাখা যেতে পারে। যেখানে ইংলিশসহ সব ধরণের বিষয় থাকবে। কেউ যদি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে চায় তারা ধর্মতত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা করতে পারে। আরও বেশি পড়তে চাইলে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করবে’।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় উগ্র গোষ্ঠীর যে ভূমিকা দেখা যায় সে বিষয়ে প্রগতিশীল গোষ্ঠীর ভূমিকা কী হতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখন প্রগতিশীল গোষ্ঠীরই কাজ করার মূল সময়। এই জঙ্গী গোষ্ঠীর উত্থান ঠেকাতে সকল প্রগতিশীল গোষ্ঠীর এগিয়ে আসা প্রয়োজন’।

একই প্রসঙ্গে খ্যাতনামা লেখক, সাংবাদিক, প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা শাহরিয়ার কবির বিজেসি নিউজকে বলেন, ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে ‘তালেবানিকরণ’ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ১৯৭৫ সালের পর থেকে। বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশে এই চর্চা অব্যাহত থেকেছে এবং আফগানিস্তানে তালেবান শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ার ফলে জামায়াত ইসলামসহ বিভিন্ন উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠী নতুন করে প্রাণ পেয়েছে। তাদের কর্মকাণ্ড এবং বক্তব্যে তা আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাচ্ছি। তারা ওয়াজের নামে ভিন্ন মত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ প্রচার করে, নারীদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যা সবই তালেবান সংস্কৃতির অংশ। মেয়েরা ঘরের ভেতর আবদ্ধ থাকবে, নাচ-গান হারাম এসব ঘোষণা দিয়েছে তালেবানরা। বাংলাদেশেও গায়কদের ওপর হামলা হয়েছে বিভিন্ন সময়, সুফিদের মাজারে হামলা হয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা উপমহাদেশেই এই ধরণের চেষ্টা চলেছে। এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়’।

 

ছবি : সংগৃহীত

তরুণ প্রজন্ম এসব উগ্র গোষ্ঠীর অন্যতম টার্গেট বলে মনে করছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আফগান বা সিরিয়া যুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছে তাদের অনেকের ইন্টারভিউ করেছি আমি। তারা বিষয়টাকে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখে। বলিউডে শাহরুখ খান ডামি পিস্তল নিয়ে যুদ্ধ করে আর এদিকে তারা যুদ্ধের ময়দানে গিয়ে যুদ্ধ করে রোমাঞ্চ বোধ করে’।

এ ধরণের সংস্কৃতি নির্মাণে বাংলাদেশের অভিভাবকদেরও সমালোচনা করেন তিনি। তার মতে, অভিভাবকরা বাচ্চাদের বিভিন্ন ওয়ার গেম খেলতে দেয়। এখানে তারা 'ব্যাড গাইসদের' হত্যা করার মধ্যে একধরণের দু:সাহসিক কাজ করার অনুভূতি পায়। যার থেকে অনেক সময় এই ধরণের কাজ করার প্রেরণা তৈরি হয়। এছাড়া, মাদরাসার শিক্ষার্থীদের দারিদ্রতাও এ ধরণের কাজের সাথে যুক্ত হবার পেছনে ভুমিকা রাখে।

 

ছবি : সংগৃহীত

তরুণদের এসব কাজে সম্পৃক্ত হবার অনুপ্রেরণা পাবার পেছনে সরকারের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন মি. শাহরিয়ার কবির। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সত্যিকারের বিনোদন হিসেবে কিছু রাখা হয়নি। আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক বাজেট সবচেয়ে কম। আগে বাংলাদেশে নানান ধরণের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হতো। গান, কবিতা আবৃত্তি, নাচ, বিতর্কসহ অনেক কিছু। কিন্তু এগুলো সব হারিয়ে যাচ্ছে। পরিবর্তে ওয়াজ, ক্বেরাতের সংস্কৃতি বৃদ্ধি পাওয়ায় উগ্র জঙ্গীগোষ্ঠী তরুণদের সহজে টার্গেট করতে পারে’। 

তিনি যোগ করেন, ‘এই উগ্র সংস্কৃতির বিকাশ প্রতিহত করতে রাজনৈতিক, সামাজিক লড়াইয়ের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক লড়াই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাত্রা, পুতুলনাচ, কবিগান, পালাগান, জারিগান, সারিগান এসব কিছু হারিয়ে গেছে। অথচ এসব গানের মধ্যে কিন্তু ইসলামের কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু ওয়াহাবিরা বলেছে গান হারাম, তালেবানরা বলে দিয়েছে গান হারাম। তারাতো আগফানিস্তানের জাতীয় সংগীতও বাতিল করে দিয়েছে। তালেবান তো আর শুধু আগফানিস্তানে আছে এমন নয়। এটি একটি ভাবাদর্শ যা আমাদের সংস্কৃতিতে ও মনোজগতে ব্যাপক মাত্রায় প্রবেশ করেছে’।

 

ছবি : সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরণের উগ্রগোষ্ঠীর সক্রিয় প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষণীয়। কিন্তু বিপরীত দিক থেকে দেশীও সংস্কৃতির প্রভাব তেমনটা লক্ষ্য করা যায় না। এর কারণ কী হতে পারে এমন প্রশ্নে শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জামায়াত-শিবিরসহ বিভিন্ন উগ্রগোষ্ঠী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে থাকে। আমরা সরকারের কাছে বলেছি যে এর বিপরীতে একটা 'কাউন্টার ন্যারেটিভ' তৈরি করতে হবে। শুধু ওরা খারাপ বললেই হবেনা, ভালোটাও তুলে ধরতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার চাইলে তরুণ প্রজন্মকে কাজে লাগিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন কন্টেন্ট তৈরি করে সেগুলোর মাধ্যমে মানুষকে সঠিকটা জানাতে পারে। ইসলাম যে শান্তির ধর্ম সেটাও মানুষকে জানানো দরকার’।

বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার যেহেতু নিজেদের সেকুলার হিসেবে দাবি করে তাদেরই উচিত সেকুলার ইসলামটাকে মানুষের সামনে তুলে ধরা। একই সাথে প্রগতিশীল, সাংস্কৃতিক শক্তির সাথে সম্মিলিতভাবে বাঙালি আবহবান সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানোর মাধ্যমে তালেবান সংস্কৃতির বিকাশ ঠেকানো সম্ভব'।

বিজেসি নিউজ আরো কথা বলেছে ড. কাবেরি গায়েনের সাথে। বালাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়ন এবং লিঙ্গবৈষম্য এবং জঙ্গীবাদি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে স্পষ্টবাদী দৃষ্টিভঙ্গী ও মতামতের জন্য ড. কাবেরি গায়েন সুপরিচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এই অধ্যাপক মনে করেন, আগেরবার ক্ষমতায় আসা তালেবান এবং এখনকার তালেবানের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

 

ছবি : সংগৃহীত

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা গ্রহণের পর তারা প্রথমে নারী স্বাধীনতার কথা বললেও তাদের কাজে ক্রমশ তাদের অতীতের চেহারাই ফুটে উঠছে। সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশের উগ্রগোষ্ঠীগুলোর মধ্যেই তালেবান ক্ষমতায় আসার ঘটনা নিয়ে উৎসাহ কাজ করছে। বাংলাদেশে যেসব উগ্রগোষ্ঠী আছে তারা তালেবানদের ক্ষমতা গ্রহণের বিষয়টাকে একটা বিজয় হিসেবে দেখছে এবং তা প্রচারও করছে। হরকাতুল জিহাদ, জামাতুল মুজাহিদিনসহ এসব গোষ্ঠীর সাথে আইএসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জঙ্গীগোষ্ঠীর যোগাযোগ রয়েছে। তারা তালেবানের এই উত্থানকে তাদের সফলতা হিসেবেই দেখছে। ফলে এর প্রভাব বাংলাদেশে পড়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়’।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে হেফাজতে ইসলামের উত্থানসহ নানান ঘটনায় দেখা যাচ্ছে যে মেয়েরা চাকুরিগত দিক দিয়ে এগিয়ে গেলেও জনপরিসরে নারীর হেনস্থার জায়গাটা অনেক বেড়েছে। এর মাধ্যমে মতাদর্শ আরোপ করার ব্যাপারটা সামনে চলে আসছে। এটি শুধু নারীদের ওপরেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটি সামনে যাবে গায়কের ওপরে, শিল্পীর ওপরে এবং রাজনীতির ওপরে’।

আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের ফলে উপমহাদেশে পাকিস্তানের যে কোণঠাসা অবস্থান ছিল সেটা পুনরুদ্ধার হতে পারে বলে মনে করছেন কাবেরি গায়েন। আগফগানিস্তানে যেভাবে খোলাখুলিভাবে আগ্নেয়াস্ত্রের বাজার বসছে তাতে ভারতসহ উপমহাদেশের সব দেশেই জঙ্গীবাদী গোষ্ঠীর নতুন উত্থান ঘটাকে অস্বাভাবিক মনে করছেন না তিনি।   

এই ধরণের প্রভাব থেকে তরুণ প্রজন্মের রক্ষাকবচ হিসেবে বাঙালি দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ বড় ভুমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন তিনি। দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশে সরকারের ভূমিকাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তিনি।

 

ছবি : সংগৃহীত

অধ্যাপক কাবেরি গায়েন বলেন, ‘ধর্মীয় উগ্রবাদ বা জঙ্গী গোষ্ঠীর বিকাশ দমনে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা প্রয়োজন। এই জিরো টলারেন্স নীতি আবার সহিংস নীতি নয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তা নেয়া যেতে পারে তবে সাংস্কৃতিক জায়গাটাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। উগ্রসংস্কৃতির বিরুদ্ধে আমাদের দেশের মাটির বহুত্বের যে সংস্কৃতি রয়েছে সেটাকে প্রতিস্থাপন করতে হবে। সংস্কৃতির মূলের জায়গাগুলোকে দৃশ্যমান করতে হবে। এই বিষয় নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলো একত্রিত হয়ে বাংলাদেশের মাটির বহুত্বের সংস্কৃতিকে যদি সঠিকভাবে বিকশিত করতে পারে তাহলেই এই তালেবান সংস্কৃতির হাত থেকে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করা সম্ভব’।

তালেবান মূলত আফগানিস্তানের একটি দেওবন্দি ইসলামি আন্দোলন এবং সামরিক সংগঠন। আফগানিস্তানে শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনা, পশ্চিমা সৈন্যদের চলে যাওয়া এবং ক্ষমতায় থাকাকালীন তাদের নিজস্ব ব্যাখ্যায় শরিয়ত আইন বা ইসলামি আইন প্রনয়ণ করা তালেবানদের লক্ষ্য। ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট কাবুলের পতনের পর আবারো আফগানিস্তানের শাসনব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ চলে যায় তালেবানদের হাতে।