‘ঢালাওভাবে সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসেব তলব ভুল বার্তা দেয়’ 


‘ঢালাওভাবে সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসেব তলব ভুল বার্তা দেয়’ 

ছবি : সংগৃহীত

 

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জন সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসেব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন সাংবাদিক নেতার সাথে কথা বলেছে বিজেসি নিউজ। জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এটিকে স্বাভাবিক হিসেবেই বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘কোনো সংস্থা চাইলে সাংবাদিক কেন, যে কারও ব্যাংক হিসেব তলব করতেই পারে। কিন্তু শুধু সাংবাদিক নেতাদের ঢালাওভাবে ব্যাংক হিসেব তলব করাটা ভুল বার্তা দেয়’। 

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান অবশ্য এটিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইলিয়াস খান বলেন, ‘এটি একটি ষড়যন্ত্র। এখানে সরকারি কর্মকর্তা যারা এ সেক্টরে কাজ করেন, এটি তাদের সময়ক্ষেপণ ছাড়া কিছুই নয়। তারপরও তারা চাইলে আমাদের ব্যাংক হিসেব সংগ্রহ করুক এবং তা জনসমক্ষে প্রকাশ করুক’।

এ বিষয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোরসালীন নোমানী তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসেব তলব' সংক্রান্ত একটি সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানতে পারলাম। এর মধ্যে আমার নামটি দেখে খুবই বিস্মিত হয়েছি। এখানে আমার বক্তব্য হচ্ছে, আমাকে যারা ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করেন না, তারাও আমার আর্থিক সততা নিয়ে প্রশ্ন করেন, এটা আমি বিশ্বাস করিনা। তাছাড়া স্ত্রী অসুস্থসহ পারিবারিক কারণে ব্যাংকে আমি অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত। যেসব নেতার ব্যাংক হিসেব তলব করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সেই তথ্য সংগ্রহ করার পর, তা যেন জনসম্মুখে (পাবলিকলি) অবশ্যই প্রকাশ করে, সেই জোর দাবি জানাচ্ছি’।

১২ সেপ্টেম্বর, রোববার দেশের সব ব্যাংকে ১১ জন সাংবাদিক নেতার হিসেব চেয়ে চিঠি দেয় বিএফআইইউ।

ব্যাংক হিসেব তলব করা সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মোল্লা জালাল ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আব্দুল মজিদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি আব্দুল কাদের গণি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোরসালীন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান।

চিঠিতে বলা হয়, উল্লেখিত ব্যক্তিরা ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে কোনও হিসেব অতীতে অথবা বর্তমানে পরিচালিত হয়ে থাকলে সেসব হিসাবের যাবতীয় তথ্য (যাবতীয় কাগজপত্রাদিসহ হিসেব খোলার ফর্ম, কেওয়াইসি, ট্রানজেকশান প্রোফাইল, শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী) জরুরি ভিত্তিতে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিবরণীর শুধু সফটকপি পাঠাতে হবে। একইসঙ্গে এই সাংবাদিক নেতাদের নামে কোনও হিসেব অতীতে অথবা বর্তমানে পরিচালিত হয়ে থাকলে, তাও জানাতে বলা হয়েছে।