সামি-তাসনিমসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, ৪ জনকে অব্যাহতি


সামি-তাসনিমসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, ৪ জনকে অব্যাহতি

ছবি : সংগৃহীত

 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট দেয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সামিউল ওরফে জুলকারনাইন সায়ের খানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আল জাজিরা টেলিভিশনে সম্প্রতি প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের অন্যতম প্রধান চরিত্র ছিলেন সামিউল। অপরদিকে ট্রাইব্যুনাল, লেখক মুশতাক আহমেদসহ চারজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

১২ সেপ্টেম্বর, রবিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেন। ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে লেখক মুশতাক মারা যান। অব্যাহতি পাওয়া অপর তিন আসামি হলেন-যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, জার্মান প্রবাসী ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন ও ফিলিপ শুমাখার।

এদিকে, আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, সামিউল ওরফে জুলকারনাইন সায়ের খান, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

এর আগে ১৩ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের(সিটিটিসি) উপ পরিদর্শক আফসার আহম্মদ। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন-আল জাজিরা টেলিভিশনে সম্প্রতি প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের অন্যতম প্রধান চরিত্র সামিউল ওরফে জুলকারনাইন সায়ের খান, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদ।

র‍্যাব-৩ সিপিসি-১ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ১১ জনের নামে ২০২০ সালের ৫ মে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ‘আই এম বাংলাদেশি’ নামে একটি ফেসবুক পেজে আসামিরা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরণের পোস্ট করেন। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। ওই পেজের অ্যাডমিন সায়ের জুলকারনাইন এবং আমি কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ শুমাখার, স্বপন ওয়াহিদ, মুশতাক আহমেদ নামীয় ফেসবুক আইডিসহ পাঁচজন এডিটর পরস্পর যোগসাজশে ফেসবুক পেজটি দীর্ঘদিন পরিচালনা করছেন।

আহমেদ কবীর কিশোর, তাসনিম খলিল, জুলকারনাইন সায়ের খান, সাহেদ আলম ও আসিফ মহিউদ্দিনের মধ্যে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিং’ এর প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয় মামলার এজাহারে।