অবশেষে চলে গেলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ


অবশেষে চলে গেলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ

ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম। ছবি : সংগৃহীত

 

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম মারা গেছেন।  হাসপাতালের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ পাইলট এসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুব এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ক্যাপ্টেন নওশাদ ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল।

এর আগে ২৯ আগস্ট, রবিবার সারাদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাইলট নওশাদের মৃত্যুর খবর দেখা যায়। দেশের বেশিরভাগ গণমাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হলেও দেশের প্রথম সারির কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হয়েছিল তিনি কোমায় রয়েছেন। পাইলট নওশাদের মৃত্যুর খবর নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা।

তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যম বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে তখন অভিযোগ করা হয়। “ক্যাপ্টেন নওশাদ মারা গেছেন” এমন সংবাদ সত্য নয় বলেও রবিবার জানিয়েছিল তার পরিবার। তখন এ বিষয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার না করতেও অনুরোধ জানানো হয় পরিবারের পক্ষ থেকে।

এরপর আজ ৩০ আগস্ট, সোমবার ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় নওশাদ মারা যান।

২৭ আগস্ট, শুক্রবার বিমানের বোয়িং ৭৩৭ ফ্লাইটটি ওমানের রাজধানী মাসকাট থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসার পথে মধ্য আকাশে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম। ভারতের নাগপুরে জরুরি অবতরণ করে সেখানকার কিংসওয়ে হাসপাতালে নেয়া হয়। শারীরিক অবস্থার সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) নেয়া হয়।

অসুস্থ অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।

কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটিকে তার নিকটস্থ মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলটই বিমানটিকে অবতরণ করান। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটিতে ১২৪ জন যাত্রী ছিল। তারা সবাই নিরাপদে ছিলেন।

শুক্রবারই আরেকটি ফ্লাইটে করে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। মধ্যরাতের পর বিমানটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।

এর আগে ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর ১৪৯ যাত্রী নিয়ে মাস্কাট বিমানবন্দর ছেড়ে আসা আরেকটি বিমানকে নিরাপদে অবতরণ করিয়ে প্রশংসা কুড়ান তিনি।