বরেণ্য সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ আর নেই


বরেণ্য সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ আর নেই

বরেণ্য সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ। ছবি : সংগৃহীত

 

বরেণ্য সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ মারা গেছেন। ২৯ আগস্ট, রবিবার রাত ১১টা ২৫ মিনিটে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

বুদ্ধদেব গুহের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন বরেণ্য সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রায় এক মাস পর সুস্থ হয়ে ফিরেছিলেন বাড়ি। কিন্তু আগস্ট মাসেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে আবার ভর্তি হন হাসপাতালে। চার সদস্য বিশিষ্ট চিকিৎসকের একটি দলের অধীনে চিকিৎসা চলছিল বুদ্ধদেব গুহর।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, গত এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বুদ্ধদেব গুহ। সেসময় শহরের একটি হোটেলে নিভৃতবাসে থাকার পর, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩৩ দিন পর করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি।

এরপর করোনা পরবর্তী জটিলতায় আবারো হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। এবার আর বাড়ি ফেরা হলো না তাঁর।

১৯৩৬ সালের ২৯ জুন কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন বুদ্ধদেব গুহ। বন, অরণ্য ও প্রকৃতিবিষয়ক লেখার মাধ্যমেই পাঠকদের মাঝে পরিচিত পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় এই লেখক। তার স্ত্রী প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী ঋতু গুহ।

তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘জঙ্গল মহল’-এর পর থেকে ‘মাধুকরী’, ‘কোজাগর’, ‘অববাহিকা’, ‘বাবলি’- একের পর এক উপন্যাস উপহার দিয়েছেন পাঠকদের। কিশোর সাহিত্যেও ছিল অবাধ বিচরণ। তার সৃষ্ট ‘ঋজুদা’ বা ‘ঋভু’র মতো চরিত্র আকৃষ্ট করে রেখেছে কয়েক প্রজন্মের বহু পাঠকের মনকে।

বুদ্ধদেব গুহ 'হলুদ বসন্ত' উপন্যাসের জন্য আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন ১৯৭৬ সালে। তিনি শিরোমন পুরষ্কার ও শরৎ পুরষ্কারেও সম্মানিত হয়েছেন।