বায়োমেট্রিক তথ্য প্রকাশ পেলে বিপদে পড়তে পারেন আফগানরা


বায়োমেট্রিক তথ্য প্রকাশ পেলে বিপদে পড়তে পারেন আফগানরা

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন সেনাবাহিনী এবং আফগান সরকার হ্যান্ডহেল্ড ইন্টারএজেন্সি আইডেনটিটি ডিটেকশন ইকুইপমেন্ট -এইচআইআইডিই-হাইড নামের ডিভাইস ব্যবহার করে আফগানদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করতো। সেই তথ্য মার্কিন ডেটাবেইসে রাখা হতো। এসকল বায়োমেট্রিক তথ্য যদি তালেবানের হাতে পড়ে যায়, তবে তা বিপজ্জনক হতে পারে।

সেনাসূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ইন্টারসেপ্ট বলেছে, বেশ কিছু হাইড ডিভাইস তালেবানের হাতে পড়েছে। অন্যদিকে, বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তালেবান সদস্যরা ‘বায়োমেট্রিক যন্ত্র’ হাতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। আবার এক আফগান কর্মকর্তা নিউসায়েন্টিস্টকে বলেছেন, বায়োমেট্রিক অবকাঠামো এখন তালেবানের হাতে।

সাবেক মার্কিন মেরিন সেনা পিটার কিয়েরনান আফগানিস্তানে কাজ করেছেন। ১২ জন আফগান অনুবাদক ছিলেন তার দায়িত্বে। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে ১২ ইঞ্চি লম্বা ও ৬ ইঞ্চি চওড়া বায়োমেট্রিক ডিভাইস ছিল। আমরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে আফগানদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করতাম। ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও রেটিনা স্ক্যানের পাশাপাশি তাদের ছবিও তুলে রাখতাম।’

পিটার কিয়েরনানের আরো বলেন, ‘এতে বোমা তৈরিকারীদের শনাক্ত সহজ হয়, পাশাপাশি মার্কিন সেনাবাহিনীর সঙ্গে যে স্থানীয়রা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন, তাদের পরিচয় নিশ্চিতেও ব্যবহার করা হতো’। অন্তত ৮০ শতাংশ আফগানের তথ্য এই ডেটাবেইসে যুক্ত করার পরিকল্পনা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। তবে যে তথ্য তারা পেয়েছে তা অনেক কম বলে মনে করেন অনেকে।

 

ছবি: সংগৃহীত

এদিকে, জাতিসংঘ তাদের এক নথিতে বলেছে, ন্যাটো এবং মার্কিন সামরিক বাহিনীগুলোর সঙ্গে যারা কাজ করেছেন, তাদের খোঁজ জোরদার করছে তালেবান। আর মার্কিন সেনাবাহিনী এবং আফগান সরকারের সংগৃহীত বায়োমেট্রিক তথ্যগুলো যদি তালেবানের হাতে পড়ে যায়, তবে তা মার্কিনদের সঙ্গে কাজ করা ওই আফগানদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

অন্যদিকে, সাংবাদিক এবং লেখক অ্যানি জ্যাকবসেন মনে করেন, তালেবানরা চাইলেও সে তথ্যে সহজে হাত লাগাতে পারবে না। কারণ, হাইড ডিভাইসের তথ্যগুলো আফগানিস্তানে নেই। সেগুলো মার্কিন সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগনের অটোমেটেড বায়োমেট্রিক আইডেনটিফিকেশন সিস্টেমে রাখা আছে। বরং এর চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তালেবানের জন্য বেশি যৌক্তিক তথ্যের উৎস হতে পারে।