তালেবানের সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিকের সাহসী প্রশ্ন


তালেবানের সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিকের সাহসী প্রশ্ন

 

আফগানিস্তানে তালেবান শাসন মানেই নারী স্বাধীনতা নিয়ে অনিশ্চয়তা। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান শাসনের সময় আফগানিস্তানে নারীদের শিক্ষা এবং চাকরির অধিকার ছিল না। আবারও কি এমন কিছুই হতে যাচ্ছে? কাবুল দখলের পর তালেবানদের প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আলোচনায় এসেছেন সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেয়া একমাত্র নারী সাংবাদিক চার্লটি বেলিস।

কাবুলে তালেবান সংবাদ সম্মেলনে প্রথম সাংবাদিক হিসেবেই প্রশ্ন করার সুযোগ পান চার্লটি বেলিস। ঘরভর্তি তালেবানদের সামনে নারী অধিকার নিয়ে প্রশ্ন করাটা সহজ ছিল না। সমগ্র পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে ঠাণ্ডা মাথায় অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে তালেবানদের বিভিন্ন প্রশ্ন করেন এই সাংবাদিক। তিনি জানতে চান, নারীদেরকে কাজে যোগ দিতে দেয়া হবে কী না। মেয়েরা স্কুলে যেতে পারবে কী না। নারী ও কন্যা শিশুদের আপনারা কি নিশ্চয়তা দিতে পারেন যে, তাদের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে?

প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। তিনি বলেন, ‘শরীয়া আইন যতটা অধিকার দিয়েছে, ততটাই দেয়া হবে। নারীরা সবরকম অধিকার পাবেন। ইসলামের সীমাবদ্ধতার মধ্যে তাদেরকে সব অধিকারের বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে চাই’।

নিউজিল্যান্ডের সাহসী এই নারীকে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল লিখেছে, তিনি সশস্ত্র তালেবানদের সামনে দাঁড়িয়ে জোরালো প্রশ্ন তুলেছেন।

কাতারভিত্তিক চ্যানেল আল জাজিরায় কাজ করেন চার্লটি বেলিস। ২০১৯ সাল থেকে সেখানে কর্মরত আছেন তিনি।

তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর আফগান নারীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে হতাশা। ইতোমধ্যে দেয়ালে থাকা নারীদের ছবি মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে তালেবানরা।