টাইফয়েডে শিশু সাংবাদিক ইরামের মৃত্যু


টাইফয়েডে শিশু সাংবাদিক ইরামের মৃত্যু

হ্যালো বিডিনিউজ ডট কমের বগুড়া জেলার শিশু সাংবাদিক ইরাম রেহমান মারা গেছেন। ১৪ আগস্ট, শনিবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

এদিন সকালে তার বাবা সাংবাদিক আরিফ রেহমান ফেসবুক পোস্টে লিখেন, আমাদের সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে। সবারই চাওয়া, আমাদের সন্তানরা ভালো থাক, সুন্দর থাক, নতুন দিনের স্বপ্ন নিয়ে ওরা বেড়ে উঠুক। আলোয় ভরে উঠুক, ওদের জীবন। যাকে নিয়ে এত স্বপ্ন, সেই ছেলেটাই আমার ভালো নেই। আমার ছেলে ইরাম। সুস্থ-সবল আর তারুণ্যের উত্তাপে টগবগে তরুণ।এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। টানা ১৪ দিন ধরে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত। জ্বর সেরে গেলে ২৮ জুলাই হঠাৎ হাত পা ও শরীর অবশ হয়ে যায়। বগুড়া মেডিকেল চিকিৎসা শেষে ২ আগস্ট ভর্তি করানো হয় ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে। ৫ ই আগস্ট অচেতন অবস্থায় নেয়া হয় আইসিইউতে। একদিন পর জ্ঞান ফিরলে মুখে তরল খাবার দেয়া শুরু হয়। ৯ তারিখে আবার অচেতন হয়ে পড়ে। ১০ তারিখ বুধবার রাত নটা থেকে লাইফ সাপোর্টে আছে। কৃত্রিম শ্বাস যন্ত্র দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস চালানো হচ্ছে। আজ ১৪ই আগস্ট। এখনও জ্ঞান ফেরেনি। হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক কাজী দীন মোহাম্মদের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা করছেন। মহান আল্লাহ সুস্থতা দিন।

পরে তার বাবার সহকর্মীরা ফেসবুকে ইরামের মৃত্যুর কথা জানান।

ইরামকে নিয়ে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সম্পাদক সুলাইমান নিলয় বলেন, “উত্তরাঞ্চলীয় জেলা বগুড়ার স্মৃতি বলতে ২০১৯ সালে শিশু সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণে কাটানো দুই দিন। তবে সেই দুইদিন এত এত স্মৃতিতে ঠাসা যে, দুইদিনকে দুই মাসের মতো দীর্ঘ মনে হচ্ছে। সেই ৪৬ ঘণ্টা সময় আমার এখনো মনে আছে। সেখানকার প্রশিক্ষণ কক্ষে একদল শিশুর সঙ্গে বসে মনোযোগ দিয়ে কথা শুনতো ইরাম। প্রায়োগিক সেশনগুলোতেও স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ নিয়েছিল সে। সেখানে সামনের দিকেই বসতো সে। ভাবতেই পারছি না, ছেলেটি আর পৃথিবীতে নেই। ইরামের মতো স্বপ্ন দেখা শিশুর বিদায়ে আমরা শোকাহত। তবে তার স্মৃতির প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা আমরা তখনই দেখাতে পারবো, যখন আমরাও তার মত এত বড় স্বপ্ন দেখবো।

বগুড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ত ইরাম। সেখান থেকেই এবার এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল তার।