'ঘটনা সত্য' নাটকের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার ঘোষণা


'ঘটনা সত্য' নাটকের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার ঘোষণা

 

এবার মামলা হচ্ছে ‘ঘটনা সত্য’ নাটকের শিল্পী, নির্মাতা ও প্রচারিত চ্যানেল এবং আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে। ১০ আগস্ট, মঙ্গলবার মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কয়েকটি সংগঠন।

উইমেন উইথ ডিজঅ্যাবিলিটি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের-ডব্লিউডিডিএফ নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন নাহারের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনের মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন প্রতিবন্ধী নাগরিক সংগঠনের পরিষদ-পিএনএসপি এর সালমা মাহবুব।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৩ জুলাই একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ‘ঘটনা সত্য’ নাটকটি প্রচার করা হয়। নাটকটি ইউটিউবেও আপলোড করা হয়। নাটকটিতে প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম দেওয়াকে কেন্দ্র করে মা–বাবার কান্নাকাটির মাধ্যমে ভীতিকর পারিবারিক ও সামাজিক চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়। ইউটিউবে নাটকটির প্রচারিত অংশে নেপথ্য কণ্ঠে প্রতিবন্ধিতাকে বলা হয়, ‘বাবা-মায়ের পাপের ফল’।

আরও বলা হয়, একই চ্যানেলে প্রচারিত একটি টক শোতে দেশের ফুটবলের দুর্দশা বোঝাতে ‘প্রতিবন্ধী ছেলে’ উল্লেখ করেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। আলোচকসহ অনুষ্ঠানটির বিরুদ্ধেও পৃথক মামলা করা হবে।

বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর আইনি অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩-এর ৩৭ (৪) ধারায় মামলা করা হবে। আইনের ওই ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি পাঠ্যপুস্তকসহ যেকোনো প্রকাশনা এবং গণমাধ্যমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বা প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কে নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার করলে অনধিক তিন বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ৩৫০টি সংগঠন এই আইনি ব্যবস্থার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে।

আইনজীবী রেজাউল করিম সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলা দুটি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিক হলেই মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

মেহজাবীন চৌধুরী ও আফরান নিশো অভিনীত ‘ঘটনা সত্য’ নাটকটি পরিচালনা করেন রুবেল হাসান। প্রতিবাদের মুখে ইতোমধ্যে নাটকের নির্মাতা ও শিল্পীরা ক্ষমা চেয়েছেন এবং নাটকটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।