তথ্য পাচারে অভিযুক্ত সাংবাদিকের জামিনের আবেদন খারিজ


তথ্য পাচারে অভিযুক্ত সাংবাদিকের জামিনের আবেদন খারিজ

ভারতে অর্থের বিনিময়ে চীনা গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সংবেদনশীল এবং গোপনীয় তথ্য সরবরাহ করার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক রাজীব শর্মার জামিনের আবেদন ১৭ জুলাই শনিবার খারিজ করে দিয়েছে দিল্লির একটি আদালত।

আদালতে অতিরিক্ত দায়রা জজ ধর্মেন্দ্র রানা বলেন, রাজীব শর্মা সন্দেহভাজন উৎস থেকে কয়েক লক্ষ রুপি পেয়েছিলেন এবং তিনি অর্থ প্রাপ্তি সম্পর্কিত কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

বিষয়টিকে “উদ্বেগজনক” আখ্যা দিয়ে বিচারক আরও উল্লেখ করেন, রাজিব শর্মার বার্ষিক আয় আট লক্ষ ষাট হাজার হলেও তিনি বিদেশে ছেলের পড়াশুনা করাচ্ছেন, একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন এবং বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে তাঁর বন্ধু এবং পরিচিতদের লক্ষ লক্ষ টাকাও দিয়েছেন।

আদালত আরও বলেন "রেকর্ড করা বিবৃতি থেকে এটা স্পষ্ট যে অভিযুক্ত ব্যক্তি সন্দেহজনক উৎস থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা পেয়েছিল"। রাজীব শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ খুবই গুরুতর এবং তদন্তে এখনও পর্যন্ত পুরো অর্থ প্রবাহের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

জামিন নামঞ্জুর করার প্রসঙ্গে আদালত বলেন, "এই পর্যায়ে অভিযুক্ত (রাজিব শর্মা) কে জামিনে মুক্তি দেওয়া ন্যায়বিচারের পক্ষে হবে না। কারণ তিনি অবশ্যই প্রমাণ মুছে ফেলা এবং তার দোষ লুকানোর চেষ্টা করতে পারেন" ।

উল্লেখ্য, রাজীব শর্মার বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধি এবং অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯৩৩ এর অধীনে দিল্লি পুলিশ কর্তৃক দায়ের করা একটি এফআইআর এবং অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে ইডি এই তদন্ত শুরু করেছিল।

তদন্ত চলাকালে ইডি বলেছিলো, রাজীব শর্মা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে চীনা কর্মকর্তাদের সংবেদনশীল তথ্য দিয়ে ভারতের সুরক্ষা এবং জাতীয় স্বার্থে আপোষ করেছেন।

রাজীব শর্মার উকিল অ্যামিশ আগরওয়ালের দাবি তার মক্কেলকে মিথ্যা অভিযোগে এই মামলায় জড়ানো করা হচ্ছে। তিনি কোনওভাবেই দেশের জাতীয় সুরক্ষায় আপষ করেননি।

ইডি-র অনুরোধে আদালত ১৪ জুলাই বুধবার রাজীব শর্মাকে ১৪ দিনের জন্য বিচারিক হেফাজতে প্রেরণ করে। তাকে চলতি মাসের শুরুর দিকে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ), ২০০২ এর ধারায় গ্রেফতার দেখানো হয়।