আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২০


আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২০

আজ ১২ ডিসেম্বর চতুর্থ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২০। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘যদিও মানছি দূরত্ব, তবুও আছি সংযুক্ত’।  বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশজুড়ে জেলা-উপজেলা এবং বিদেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে পালিত হচ্ছে চতুর্থ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২০।

দিবসটি উপলক্ষে সকালে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। 

রাতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ১২ বছর নিয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনারের প্রধান অতিথি ও কি-নোট স্পিকার হিসেবে ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত হন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ।

২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ কর্মসূচি ‘রূপকল্প ২০২১’ এর মূল উপজীব্য। যার বাস্তবায়নের মূল লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ।

সেই হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের এক যুগ পূর্তির দিন আজ।

আইসিটি বিভাগের অধীন বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থা এবং এটুআই প্রোগ্রাম বিগত ১২ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। প্রণয়ন করেছে আইন, নীতিমালা, বিধিমালা ও স্ট্র্যাটেজি।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভিজ্যুয়াল কালার ভার্সন। বিশ্বসেরা এই ভাষণের ২৬টি নির্বাচিত বাক্য দেশের ২৬ জন খ্যাতিমান লেখকের দ্বারা বিশ্লেষণ করিয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রযুক্তির মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ডিজিটাল ভার্সনে (মোবাইল অ্যাপ ও ই-বুক) রূপান্তর।

৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের হলোগ্রাফিক প্রজেকশন রূপান্তর এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ‘মুজিব হান্ড্রেড’ ওয়েবসাইট এবং ‘মুজিববর্ষ লোগো তৈরি করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ১২ মে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যালোইট-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্যাটেলাইটের এলিট ক্লাবের সদস্য হওয়াও বড় অর্জন।

দিবসটি উদ্‌যাপন উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ শুধু আওয়ামী লীগের নয়, ১৭ কোটি মানুষের। ঘরে ঘরে আজ প্রতিটি মানুষ ভোগ করছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা”। মন্ত্রী বলেন, “ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে দেশের জনগণ করোনা মহামারিতেও সংযুক্ত থাকতে পেরেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, আদালত, সরবরাহ ব্যবস্থা এমন কি বিচারিক কাজ সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।”