মসজিদে ঢুকে সাংবাদিকের ওপর হামলা


মসজিদে ঢুকে সাংবাদিকের ওপর হামলা

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মসজিদে ঢুকে বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম নয়নের (৩৮) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে তার শ্যালক সাদ্দাম হোসেন ও শ্বশুর অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কামাল প্রধান আহত হন।

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি উত্তরপাড়া জামে মসজিদে জুমআর নামাজের সময় হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতদের উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম নয়ন ও তার শ্যালক সাদ্দাম হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান। 
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. কামরুন নাহার বলেন, “আমিরুল ইসলাম নয়নের ডান পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও মাথায় শক্ত কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। অন্যদিকে তার শ্যালক ও তার শশুরের গায়ে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”

আহত নয়নের খালাতো ভাই শামীম জানান, বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান জুয়েলের অনুসারীদের বিষয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন করার জের ধরে আমিরুল ইসলাম নয়নের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন তারা। এরইমধ্যে শুক্রবার গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি উত্তরপাড়া জামে মসজিদে জুমআর নামাজ পড়তে গেলে খুতবার সময়ে মসজিদের ভেতরে ঢুকে তার ওপর হামলা চালায় জুয়েল চেয়ারম্যানের লোকজন। 

শামীম বলেন, “জুয়েল চেয়ারম্যানের নির্দেশ তার দুই ভাই মন্টু ও সেন্টু, ভাগিনা রুবেল, বাবু ও সহযোগী সুজন, মেহেদী, মাসুম, রাসেল, সুমন, সালাম, গাফফারসহ ২০-২৫ জন আমিরুলের ওপর হামলা চালায়। তারা ধারালো অস্ত্র, রড ও ইট দিয়ে আমিরুলকে আঘাত করে। এ সময় তার শ্যালক ও শ্বশুর আক্রমণকারীদের বাধা দিতে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালায় তারা”। 

পরে, মুসল্লিরা আহতদের উদ্ধার করে করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় বলে জানান, শামীম।
এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর নাছির উদ্দিন উজ্জ্বলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইস উদ্দিন জানান, “প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি মসজিদের কমিটি করার বিষয়ে পূর্ব থেকেই তাদের ক্ষোভ ছিল। তার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়। এ ব্যাপারে এখনও কোনো মামলা হয়নি। 

মুন্সীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশরাফুজ্জামান বলেন, “জড়িতদের আটকে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”