করোনাকালে সংবাদকর্মী ছাঁটাই


করোনাকালে সংবাদকর্মী ছাঁটাই

করোনাকালে আইনি-বিধি উপেক্ষা করে, নানা অযুহাতে দৈনিক সমকালসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে গণ-ছাঁটাই করা হয়। সেপ্টেম্বরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রায় ৮০ জন সংবাদকর্মী ছাঁটাই হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

এদের মধ্যে সমকালেরই ৪১ জন সংবাদকর্মী। এছাড়া, ইত্তেফাকের প্রায় ১৫ জন এবং, ডেইলি স্টারের প্রায় ২১জন চাকরিচ্যূত হয়েছেন। 

সাংবাদিক ছাঁটাইয়ের এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানায়, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ডিইউজে। 
এক বিবৃতিতে ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, “করোনা দু:সময়ে জীবনবাজি রেখে পেশাগত দায়িত্ব পালনের পরেও সমকালসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে কোন ধরনের আগাম নোটিশ ছাড়াই যে সকল সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বা চাকরিচ্যুত করার ছক বানানো হয়েছে, অবিলম্বে তাদের সবাইকে স্ব স্ব পদে পনুর্বহাল করতে হবে"।

তিনি বলেন, ডিইউজে মনে করে, যে সব প্রতিষ্ঠান সাম্প্রতিক দু:সময়ে নানা অযুহাতে সাংবাদিক ছাঁটাই করছে তারা কখনওই পাঠক ও গণমাধ্যমের বন্ধু নয়, তারা শত্রু। 

সংগঠনটির নেতারা বলেন, ছাঁটাইয়ের পথে এতগুলো সংবাদপত্রের সংকট নিরসন সম্ভব হবে না। বরং অস্থিরতা আরও বাড়বে। সমাজে ও পেশায় নৈরাজ্য দেখা দেবে। এ ক্ষেত্রে সরকার-মালিক-সাংবাদিক ত্রিপক্ষীয় সভা করে শিল্প ও সাংবাদিক রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে বলেও মত দেন তারা। 

বিবৃতিতে নেতারা অভিযোগ করেন, নোয়াব সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো সাংবাদিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদপত্র, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও টেলিভিশনে সাংবাদিক ছাঁটাইয়ের পাঁয়তারা করছে। বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিনা বেতনে বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া হচ্ছে।

নোয়াব গণমাধ্যমে অস্থিরতা সৃষ্টির অপকৌশল তৈরি করছে কী না, তা সরকারকে খতিয়ে দেখার আহ্বানও জানান তারা।

কর্মচ্যূত সাংবাদিকদের পণর্বহালের দাবি জানিয়ে ডিইউজে নেতারা হুঁশিয়ার করে বলেন, নইলে, যে কোন পরিস্থিতির দায়ভার সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের মালিকদের নিতে হবে।