অফিসে ফিরছে ফেসবুক, টুইটার


অফিসে ফিরছে ফেসবুক, টুইটার

আগামী মে মাস থেকে কর্মীদের অফিসে ফিরিয়ে আনার কথা ভাবছে ফেসবুক। করোনা মহামারির প্রভাবে বছরখানেকের বেশি সময় ঘর থেকে কাজ করছেন তারা। 

মহামারির প্রায় শুরুর দিকে ঘরে থেকে কাজের পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। তবে এখন সীমিত পরিসরে হলেও কর্মীদের অফিসে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানটি।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার অফিসগুলো খুলে দিলেও করোনাবিষয়ক স্বাস্থ্যবিধি মানায় জোর দেবে ফেসবুক। শুরুতে অফিসগুলোতে কর্মীর সংখ্যা সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ রাখবে। আর ৫০ শতাংশ কর্মীকে অফিসে ফেরার কথা বলা হবে না। মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্ব মেনে এবং প্রতি সপ্তাহে করোনা পরীক্ষা করে তবেই অফিসে যেতে পারবেন কর্মীরা। 

আরেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠান টুইটার তাদের কর্মীদের যত দিন ইচ্ছা ঘরে থেকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে তারাও ক্রমে অফিস খোলার কথা ভাবছে। এক্ষেত্রে একসঙ্গে ২০ শতাংশের বেশি কর্মী অফিসে রাখার পক্ষপাতী নয় তারা।

গুগল ও মাইক্রোসফট মিশ্র পদ্ধতিতে কাজ চালানোর কথা ভাবছে। যুক্তরাষ্ট্রের রেডমন্ডের মাইক্রোসফট কার্যালয় খোলা হবে ২৯ মার্চ। কর্মীরা কখনো অফিসে এসে, আবার কখনো ঘর থেকে কাজ চালিয়ে যাবেন। গুগল তাদের পরিকল্পনা পরিষ্কার না করলেও এর আগে জানিয়েছিল, আগামী সেপ্টেম্বরের পর সপ্তাহে তিন কর্মদিবস অফিসে এসে কাজ করার কথা ভেবে দেখবে তারা।

ভ্যাকসিন দিলেই যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবে না, এমন নিশ্চয়তা নেই। তা ছাড়া বদ্ধ পরিসরে কাজ করার ঝুঁকিও আছে। তবু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো সীমিত পরিসরে পরীক্ষামূলকভাবে কর্মীদের অফিসে ফিরিয়ে আনার সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখছে। আবার ঘরে বসে কাজ করার ব্যাপারটাও শিগগিরই বিদায় নিচ্ছে বলে মনে করেন না সংশ্লিষ্টরা।