সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা: আরও ৩ জনকে গ্রেফতারের আবেদন মঞ্জুর


সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা: আরও ৩ জনকে গ্রেফতারের আবেদন মঞ্জুর

সাংবাদিক মুজাক্কির

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যা মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ নিয়ে মামলায় ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

মঙ্গলবার নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনীতা গুহ এ আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে রোববার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে ওই তিনজনকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন করা হয়। গ্রেফতার দেখানো ওই তিনজনই কাদের মির্জার অনুসারী।

যাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে, তারা হলো— চরএলাহী ইউনিয়নের আব্দুল মালেক, মুছাপুর ইউনিয়নের ইকবাল চৌধুরী ও বসুরহাট পৌরসভার আবুল হাশেম।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এসব আসামি অন্য মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিল। আমরা তাদের সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যা মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখানোর জন্য নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪ নম্বর আমলি আদালতে আবেদন করি’।

মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনীতা গুহ আবেদন মঞ্জুর করেন। এখন এসব আসামিকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এর আগে ৭ মার্চ এ মামলায় বসুরহাট থেকে যুবলীগের কর্মী বেলাল হোসেন ওরফে পাঙ্খা বেলালকে  গ্রেফতারের পর তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বেলালের কাছ থেকে ঘটনার বিষয়ে  গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পিবিআই পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলি চলাকালে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির গুলিবিদ্ধ হন। ২০ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত সাংবাদিক বুরহান মুজাক্কিরের বাবা নুরুল হুদা বাদী হয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা করার পর দিনই পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।