মারধরের ছবি তোলায় সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করলো চেয়ারম্যান


মারধরের ছবি তোলায় সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করলো চেয়ারম্যান

ঝিনাইদহর কালীগঞ্জ উপজেলার এক যুবককে মারধর করার সময় ছবি তোলায় একাত্তর টেলিভিশনের সাংবাদিক মিশন আলীকে লাঞ্ছিত করেছেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু। 

শনিবার (২০ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে রায়গ্রাম বাণীকান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। মিশন আলী একাত্তর টিভির কালীগঞ্জ প্রতিনিধি । তিনি দৈনিক যশোরের স্টাফ রিপোর্টারও।

জানা গেছে, এলাকাবাসীর কাছ থেকে স্মার্টকার্ড (জাতীয় পরিচয়পত্র) বিতরণে বক্স ও কমপার্টমেন্ট নম্বর দেওয়ার কথা বলে একদল যুবক টাকা নেয়। এসময় চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু চান আলী নামে এক যুবককে ইউনিয়নের দফাদার দিয়ে মারধর করান। সেই ছবি তোলার সময় মিশন আলীর ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় ও লাঞ্ছিত করে একটি কক্ষে আটক করে রাখা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করে।

সাংবাদিক মিশন আলী জানায়, উপজেলার ৭নং রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপুর লোকজন স্মার্টকার্ড বিতরণের বক্স ও কমপার্টমেন্ট নম্বর দেওয়ার কথা বলে নাগরিকদের কাছ থেকে ১০ টাকা করে নেয় এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। চেয়ারম্যানের নির্দেশে এ সময় এক দফাদার চান আলী নামে এক যুবককে মারধর করে। এ সময় আমি ছবি তুলি। তখন চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। উনি নিজে আমাকে একটি কক্ষে আটক করে রাখেন। এছাড়া চেয়ারম্যান নিজে আমার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে বিষয়টি আমি অন্য সাংবাদিকদের জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাকে উদ্ধার করে।

৭নং রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু জানান, একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সাংবাদিককে আটক করার ৫ মিনিট পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার এসআই আবুল কাশেম জানান, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে একটি কক্ষে সাংবাদিককে দেখতে পাই। পরে উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে সাংবাদিককে উদ্ধার করেছি।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে সাংবাদিককে উদ্ধার করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রাণী সাহা জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। চেয়ারম্যান বলেছেন, আটকের ৫ মিনিট পর সাংবাদিককে ছেড়ে দিয়েছেন।