সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অবরুদ্ধ দুই সাংবাদিক


সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অবরুদ্ধ দুই সাংবাদিক

সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অবরুদ্ধ হলেন দুই সাংবাদিক। ৮ মার্চ বিকেলে রাজশাহীর পদ্মাপাড়ের বড়কুঠি কফিবারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

কফিবারের সামনে দুই সাংবাদিক মোটরসাইকেল পার্ক করলে স্থানীয় শান্ত ও তার সহযোগীরা সাংবাদিকদের টিকেট কাটতে বলে। কিন্তু সেখানে কোন গ্যারেজ না থাকায় অবৈধ এ টিকেট কাটতে রাজি হননি তারা। এতে শান্ত ও তার সহযোগীরা তাদের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে তারা সাংবাদিকদের মারধর করে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে সাংবাদিক দুজন ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশের একটি দল এসে তাদের উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় শান্ত ও তার সহযোগীরা। 

ভুক্তভোগী দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিনের ব্যুরোপ্রধান মো. আল-আমিন হোসেন ও দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার ব্যুরোপ্রধান শাহিনুর রহমান সোনা পরবর্তীতে বোয়ালিয়া মডেল থানায় শান্ত ও তার সহযোগীদের নামে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। 

এ বিষয়ে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার ব্যুরোপ্রধান শাহিনুর রহমান বলেন, “বিনোদনবিষয়ক একটি নিউজের জন্য পদ্মাপাড়ে গিয়েছিলাম। সেখানে গ্যারেজ না থাকা সত্ত্বেও শান্ত নামের এক ব্যবসায়ী অবৈধভাবে জোরপূর্বক গ্যারেজের নামে টাকা তোলে। আমি গ্যারেজের বাইরে অল্প কিছু সময় মটরসাইকেলটি রাখতে চাইলে শান্ত ও তার সহযোগিরা বাঁধা দেয় এবং টাকা না দিলে আটকে রাখবে বলে হুমকি দেয়। উপায় না দেখে ৯৯৯ এ কল করি। কিছুক্ষণ পর পুলিশ ও অন্যান্য সাংবাদিক ঘটনাস্থলে আসা দেখে শান্ত ও তার দলবল সেখান থেকে পালিয়ে যায়”। 

জানতে চাইলে বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিবারণ চন্দ্র বর্মণ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “এমন ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। ঘটনাটি জানার পর সেখানে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। আজ সকালেও সেখানে পুলিশ গিয়েছিল কিন্তু ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক এবং অবৈধ গ্যারেজও বন্ধ করে দিয়েছে”। 

দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনার তদন্ত করা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।