টিভি চ্যানেল নিয়ে চীন-যুক্তরাজ্য লড়াই


টিভি চ্যানেল নিয়ে চীন-যুক্তরাজ্য লড়াই

চীনের প্রচারমূলক টিভি চ্যানেলকে জরিমানা করেছে যুক্তরাজ্য। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অভিযোগ, তারা যুক্তরাজ্যের আইন ভেঙেছে।

চীনা স্যাটেলাইট চ্যানেল সিটিজিএনকে দুই লাখ ৬০ হাজার ইউরো জরিমানা করেছে ব্রিটিশ রেগুলেটর অফকম। একমাস আগে এই চ্যানেলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছিল। এবার ব্রিটিশ নিয়ম না মেনে মোট ছয়টি অনুষ্ঠান দেখানোর জন্য ওই বিপুল অঙ্কের অর্থ জরিমানা করা হয়।

এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি জরিমানা হয়েছে পিটার হামফ্রিকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য। পিটার অফকমের কাছে অভিযোগ করেছিলেন যে, একটি মামলায় জোর করে তার জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে সাংহাইতে দুর্নীতির মামলায় তার দুই বছর জেল হয়। সেটা নিয়ে চীনা চ্যানেল রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। 

চীনের এই চ্যানেলের মালিক হলো, স্টার চায়না মিডিয়া লিমিটেড। তারা সাধারণত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র হিসাবেই কাজ করে বলে অভিযোগ আছে। অবশ্য  জনস্বার্থেই তারা ওই রিপোর্ট দেখিয়েছে বলে জানায় চ্যানেলটির কর্তৃপক্ষ।

অফকমের বক্তব্য, পিটারের অভিযোগ যাচাই না করে একপেশে রিপোর্টি করা হয়েছে, যা তাদের নিয়ম ভঙ্গ করছে। সেজন্যই এক লাখ দশ হাজার ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। আর ২০১৯ সালে পাঁচটি রিপোর্টের ক্ষেত্রে বিধি ভাঙার জন্য আরো এক লাখ ৫০ হাজার ইউরোর জরিমানা করা হয়েছে।

গত মাসেই অফকম এই চ্যানেলের লাইসেন্স বাতিল করেছে। তাদের অভিযোগ, এই চ্যানেলের মালিকানা কাঠামোও যুক্তরাজ্যের আইন বিরোধী। 

চীনের পাল্টা ব্যবস্থা
এদিকে, বিসিসি তাদের দেশের বিধি ভেঙেছে-এমন অভিযোগ করে চীনও বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজকে সেদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। চীন বলছে, উইগুরদের নিয়ে  বিবিসি যে রিপোর্ট করেছে, তা তাদের দেশের আইনের বিরোধী। 

 

খবর সূত্র: ডয়েচে ভেলে