সাংবাদিক হেনস্তার মামলা থেকে শমী কায়সারকে অব্যাহতি
০৭ মার্চ ২০২১, ০৪:০৯ পিএম
মানহানির মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার গত বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। আজ রোববার বিষয়টি জানা যায়।
অব্যাহতির আদেশে বলা হয়, মামলার বাদী আদালতে হাজির নেই। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়নি। সার্বিক বিবেচনায় পিবিআইয়ের প্রতিবেদন গ্রহণ করা হলো।
শমী কায়সারের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই। প্রতিবেদনটি জমা দেন পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. লুৎফুর রহমান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শমী কায়সার বাদী কিংবা অন্য কোনো সাংবাদিককে বা উপস্থিত অন্য কোনো ব্যক্তিদের উদ্দেশে ‘চোর’ বলে মন্তব্য করেছেন কিংবা কাউকে আটক করে তল্লাশির নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে কোনো প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। বাদী নিজেও এমন কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করতে পারেননি। অনুষ্ঠানের আয়োজক কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তারক্ষীদের অনাকাঙ্ক্ষিত বাড়াবাড়ির কারণে ভুল–বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটে। ফলে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে আনা মানহানির অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল স্টুডেন্ট জার্নাল বিডি’র সম্পাদক নুজহাতুল হাসান অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাটি করেন। এজাহারে বলা হয়, আসামির আচরণ বাদী ও দেশের সাংবাদিকসহ সমাজের অন্যান্য মহলের জন্য অত্যন্ত মানহানিকর ও অপমানজনক। সাংবাদিকদের 'চোর' আখ্যায়িত করে দেশ ও জাতির কাছে বাদীর ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন আসামি।
২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শমী কায়সারের দু’টি স্মার্টফোন চুরি হয়। ওই অনুষ্ঠানে ৫০ জনের মতো ফটোসাংবাদিক, ভিডিও ক্যামেরাম্যান ও শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে কেক নিয়ে আসা লাইটিংয়ের এক কর্মী স্মার্টফোন দুটি নিয়ে গেছেন।
ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ দেখার পর সাংবাদিকদের প্রতি ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেন শমী কায়সার।