খাসোগি হত্যা: সৌদি আরবের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত আজ


খাসোগি হত্যা: সৌদি আরবের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত আজ

সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যায় সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের বিষয়ে আজ সোমবার, ০১ মার্চ মার্কিন প্রশাসনের সিদ্ধান্ত জানানো হবে। মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে বাইডেন প্রশাসনের আরো কঠোর হওয়া উচিত ছিল- এমন সমালোচনার মুখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার মার্কিন সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেন।

এর আগে, দুনিয়াজুড়ে আলোচিত খাসোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের সংশ্লিষ্টতার কথা প্রথমবারের মতো প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদই নির্বাসিত সাংবাদিক খাসোগিকে হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলেন বলে দেশটির যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স পরিচালিত গোয়েন্দা প্রতিবেদনে জানানো হয়। 

২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসুলেটের ভেতর  হত্যা করা হয় ভিন্ন মতাদর্শের সাংবাদিক জামাল খাসোগি। প্রথমে নিখোঁজ এবং পরে কনসুলেটের ভেতর খাসোগিকে হত্যার কথা সৌদি আরব স্বীকার করলেও, তার মৃতদেহ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। খাসোগি হত্যাকাণ্ডের শুরু থেকেই নির্দেশদাতা হিসেবে প্রিন্স মোহাম্মদের নাম এলেও, সৌদি আরব বরাবর তা অস্বীকার করে এসেছে।

প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরপরই গত শুক্রবার দেশটির ৭৬ নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে সৌদি আরবের সাবেক এক কর্মকর্তা ও রাজকীয় একটি বাহিনীর ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়। তবে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে খুনের জন্য দায়ী করা হলেও, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি তার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি বা ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ক্রাউন প্রিন্সের উপর আরো কঠোর হওয়া উচিত ছিল প্রেসিডেন্টের।
শনিবার এ বিষয়ে বাইডেন বলেন, ‘‘সৌদি আরবের সঙ্গে আমরা কী করতে যাচ্ছি সে বিষয়ে সোমবার একটি ঘোষণা আসবে।” 

এর আগে, সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে এবার সৌদি আরবের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে মিত্র আরব দেশগুলো। সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও কুয়েত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে সৌদিকে সমর্থন দিয়েছে।