কার্টুনিস্ট কিশোরকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত


কার্টুনিস্ট কিশোরকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। ২৮ ফেব্রুয়ারী, রবিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট- সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এই আদেশ দেন।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য মতে, ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলার আসামি লেখক মুশতাক আহমেদ ও কার্টুনিস্ট কিশোরকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে ঢাকা মহানগর পুলিশ- ডিএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। আজ রবিবার সেই আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল। মামলার অপর আসামি লেখক মুশতাক আহমেদ ২৫ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী অবস্থায় মারা যান। আর অন্য আসামি আহমেদ কবির কিশোরকে আজ আদালতে হাজির করা হয়নি।

আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আদালতকে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার আহমেদ কবির কিশোরকে নির্যাতন করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। অথচ এখন আবার নতুন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। এটা আইনের পরিপন্থী। আসামিকে আদালতেও হাজির করা হয়নি। মামলার অপর আসামি মুশতাক আহমেদ কারাগারে মারা গেছেন। এই রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন বাতিল করা হোক।

কেন আসামিকে আজ আদালতে হাজির করা হয়নি এমন প্রশ্নের উত্তর আদালত রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চাইলে, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর কোনো জবাব আদালতের কাছে দেওয়া হয়নি। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আহমেদ কবির কিশোরকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে দেন।

উল্যেখ্য গত বছরের মে মাসে লেখক মুশতাক আহমেদ, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র্যাব। এর মাঝে লেখক মুশতাক আহমেদ, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান গ্রেপ্তার করে। সেই মামলায় দুজন জামিনে মুক্তি পেলেও মুশতাক ও কিশোরের জামিন আবেদন ছয়বার নাকচ হয়।