সুরক্ষা অ্যাপে অন্তর্ভুক্ত হয়নি সব সাংবাদিকের নাম


সুরক্ষা অ্যাপে অন্তর্ভুক্ত হয়নি সব সাংবাদিকের নাম

করোনা ভ্যাক্সিন দিতে সুরক্ষা অ্যাপ রেজিষ্ট্রেশন করতে পারছেন না অনেক সাংবাদিকই। জানা গেছে সাংবাদিক হিসাবে যাদের নাম ও ন্যাশনাল আইডি কার্ড নাম্বার সুরক্ষা অ্যাপে থাকবে কেবল তারাই রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন।

জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে এক ডোজ ভ্যাকসিন দেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে ২৭ জানুয়ারী তারিখ শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকা দেয়ার কর্মসূচি। এরপর থেকে প্রতিদিনই ভ্যাকসিন নিচ্ছে কয়েক হাজার মানুষ। সংখ্যা পৌছে গেছে এখন লাখে। গেলো ৯ দিনে এই পর্যন্ত টিকা দিয়েছে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ২৩ হাজার ৫১৬ জন এবং নারী চার লাখ ৩৬ হাজার ৯৭ জন।।

সরকারী ভাবে সুরক্ষা অ্যাপ'সের মাধ্যমে নিবন্ধনের মাধ্যমে ভ্যাকসিন নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে সাধারন জনগন। বয়স ৪০ এর উপর আর জটিল রোগি ছাড়া যে কেউ নিতে পারবেন এই ভ্যাক্সিন। তবে সম্মখ সারির যোদ্ধা যারা তারা নিতে পারবেন যে কোন সময়ই। এই তালিকায় আছেন ডাক্তার, আইন্বংশৃংখলা বাহিনী, সাংবাদিক।

তবে ভ্যাকসিন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে কিছুটা জটিলতা। সম্মুখসারীর কর্মকর্তা হিসাবে গণমাধ্যম কর্মীরা নিবন্ধনের সুযোগ আছে। তবে সেক্ষেত্রে নিবন্ধন করতে পারছেন না অনেক সাংবাদিকই। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সুত্রে জানা গেছে সাংবাদিকদের ভ্যাকসিন নিবন্ধন হচ্ছে নিজ নিজ মিডিয়া হাউজের পদত্ত তালিকার মাধ্যমে। এক্ষেত্রে মিডিয়া হাউজ থেকে যে নাম গুলো যাচ্ছে সেগুলোকেই সরকারী ভাবে ডাটা এন্ট্রী করা হচ্ছে বলে জানায় তথ্য মন্ত্রনালয়। যাদের নাম এরই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তারাই কেবল রেজিষ্ট্রেশন করতে পারছেন।বাকিরা পারছেন না। ডাটা এন্ট্রির পরেই সাংবাদিকরা সুরক্ষা অ্যাপস'র মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন। এছাড়াও প্রেসক্লাব এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি- ডি আর ইউ এর সদস্যরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন এখনই। কারন তাদের নাম সবার আগে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, সাংবাদিকদের ভ্যাকসিন দ্রুতই দেয়া উচিত বলে মনে করেন তারা। কারন কাজের তাগিদে সর্বসাধারণের কাছাকাছি যেতে হয় তাদের।