গণমাধ্যমে মার্কিন নির্বাচন


গণমাধ্যমে মার্কিন নির্বাচন

পুরো বিশ্ব তাকিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দিকে। কে হবেন হোয়াইট হাউজের বাসিন্দা, তার ওপর নির্ভর করছে আগামী চার বছরের আন্তর্জাতিক অঙ্গনের নানা ঘটনাবলী। চীন, রাশিয়াসহ বিশ্বের সব দেশের গণমাধ্যমেই এখন আলোচনায় মার্কিন নির্বাচন। 

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে হোয়াইট হাউজে নতুন প্রেসিডেন্ট দেখতে চায় চীন। গণমার্কিন নির্বাচন নিয়ে খোঁচা দিতেও ছাড়ে নি চীনা গণমাধ্যম। দেশটির গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন দেখে মনে হচ্ছে উন্নয়নশীল কোন দেশের নির্বাচন। সিনহুয়া বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের আর কোন আশা নেই। অন্যদিকে, হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি কর্মীরা বেশিরভাগই ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি উপেক্ষা করে রাশিয়ার প্রতি নরম হন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্বাভাবিক ভাবেই ট্রাম্প আবারও ক্ষমতায় আসবেন এমনটাই আশা করছে ক্রেমলিন। রুশ গণমাধ্যমগুলোতেও তাই উঠে এসেছে। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে মার্কিন গণতন্ত্র ক্ষয়ে যাচ্ছে এমন দাবিও করেছে বেশ কিছু গণমাধ্যম। 

নর্থ অ্যাটলান্টিক ট্রিটি অরগানাইজেশন- ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। ফলে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে হতে যাচ্ছেন তা নিয়ে আগ্রহ কাজ করছে ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যেও। ইউরোপীয় গণমাধ্যমগুলোতেও তারই প্রতিফলন দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিভেদ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জার্মান গণমাধ্যম।  

যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম আইটিভি চ্যানেল মার্কিন নির্বাচনকে 'বিশৃঙ্খল' আখ্যা দিয়েছে। যদিও হোয়াইট হাউজে যেই থাকুক না কেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব। 

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের সঙ্গে কুটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করে ইসরায়েল। ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক অবনতি হতে পারে এমন আশঙ্কা ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলোর।