যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিকের ওপর বাড়ছে হামলা-মামলা


যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিকের ওপর বাড়ছে হামলা-মামলা

দিন দিন যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিকদের ওপর হামলা/নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে। সর্বশেষ গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলার সময় কয়েকজন সাংবাদিক আক্রান্তের শিকার হন। এছাড়া তাদের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও নষ্ট করে ফেলা হয়। এমন তথ্যই জানিয়েছে, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ও ভয়েস অব আমেরিকা।

৬ জানুয়ারি কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন চলার সময় হামলা চালায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকরা। এ সময় এসোসিয়েট প্রেস-এপির ফটোগ্রাফার জন মিনচিলো ছবি তোলার চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীরা তার ওপর হামলা চালায়, এবং ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়া হয় তাকে। এছাড়া, ছবি না তোলার হুমকি দেওয়া হয় এবং তার ক্যামেরা কেড়ে নেয় হামলাকারীরা। এমনকি তাকে হত্যার হুমকিও দেয় বিক্ষোভকারীরা। ওই দিন বিক্ষোভকারীরা ‘মিডিয়াকে হত্যা করো’ বলেও শ্লোগান দেয়। তারা বিক্ষোভের সময় সাংবাদিকদেরকে সেখান থেকে বের করে দেন।

৬ জানুয়ারির ওই বিক্ষোভে ৯ সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে, ইউএস প্রেস ফ্রিডম ট্র্যাকার। তারা বলছে, ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার করা হয় পাঁচ সাংবাদিককে এবং আটক করা হয় আরও কয়েকজনকে। এছাড়া সাংবাদিকদের ব্যবহার করা যন্ত্রপাতি কেড়ে নিয়ে সেগুলো ভেঙে ফেলার ঘটনাও ঘটে। ইউএস প্রেস ফ্রিডম ট্র্যাকার আরও জানায়, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৩২৫ সাংবাদিকের ওপর হামলা এবং ১২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও আরো ২০০ ঘটনা ঘটেছে যা সাংবাদিকদের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ বলে মনে করে সাংবাদিকদের এই সংগঠনটি।

অন্যদিকে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা মার্কিন বেসরকারী সংস্থা ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট’-সিপিজে'র তথ্য মতে, গত বছরের ২৬ মে থেকে ২৬ জুনের মধ্যে দেশটিতে প্রেসের স্বাধীনতা লংঘনের ৪০০টি ঘটনা ঘটে। ঐ সময় কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ চলছিল। সিপিজে বলেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমনাত্মক ভূমিকা পালন করেছেন। এমনকি দেশটির জনপ্রিয় মিডিয়াকেও ট্রাম্প ‘ফেক মিডিয়া’ বলে উল্লেখ করেছেন বলেও জানায়, সিপিজে।