মুক্তি পেয়েই মিয়ানমার ছাড়লেন সেই মার্কিন সাংবাদিক


মুক্তি পেয়েই মিয়ানমার ছাড়লেন সেই মার্কিন সাংবাদিক

ছবি : সংগৃহীত

 

অভিবাসন আইন লঙ্ঘন, বেআইনি যোগাযোগ এবং সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ভিন্নমতকে উসকে দেয়ার দায়ে মিয়ানমারে ১১ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার তিন দিন পর মুক্তি পেয়েছেন দেশটিতে কারাবন্দি মার্কিন সাংবাদিক ড্যানি ফেনস্টার।

তিনি ১৫ নভেম্বর, সোমবার কারাগার থেকে মুক্তি পান বলে তার নিয়োগকারী সংবাদমাধ্যম ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমারের প্রকাশক সনি সোয়ি টুইটারে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার জানায়, ড্যানি ফেনস্টার কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর একটি ফ্লাইটে করে মিয়ানমার ত্যাগ করেছেন। তবে কীভাবে কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন এবং কোন দেশের উদ্দেশ্যে ফেনস্টার মিয়ানমার ছেড়েছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি গণমাধ্যমটি।

ফেনস্টারের বিরুদ্ধে আনা অভিবাসন আইন লঙ্ঘন, বেআইনি যোগাযোগ এবং সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ভিন্নমতকে উসকে দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত শুক্রবার তাকে এই কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে তিনি কীভাবে মুক্তি পেলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মুক্তির ব্যাপারে ফেনস্টারের পরিবার, ইয়াঙ্গুনে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস এবং মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদের মুখপাত্রের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

৩৭ বছর বয়সি ফেনস্টার ছিলেন ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমারের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক। এ বছরের মে মাসে মিয়ানমার ছাড়ার ফ্লাইটে উঠতে গিয়ে ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক হোন তিনি।

মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি গণমাধ্যমকর্মীসহ সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী কয়েকশ বন্দিকে মুক্তি দিলেও সেই তালিকায় ফেনস্টারের নাম ছিল না।

চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী একাধিক গণমাধ্যমের নিবন্ধন বাতিল করেছে, ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট সম্প্রচারে বিধিনিষেধ দিয়েছে, কয়েক ডজন সাংবাদিককে আটক করেছে। এসবের মাধ্যমে সামরিক জান্তা সত্যকে চেপে রাখতে চাইছে বলে অভিযোগ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর।