সাংবাদিকের দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার


সাংবাদিকের দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার

ছবি : সংগৃহীত

 

ভারতের বিহারে মধুবনীতে বুদ্ধিনাথ ঝা ওরফে অবিনাশ ঝা (২২) নামে এক সাংবাদিক ও সমাজকর্মীর দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার থেকে জানা যায়, ১২ নভেম্বর, শুক্রবার মধুবনীর পাশের গ্রাম বেতুনের কাছের একটি সড়ক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন বুদ্ধিনাথ। স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমে কাজ করতেন তিনি। সম্প্রতি ফেসবুকে মেডিক্যাল ক্লিনিক নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন তিনি। তার অভিযোগ ছিল ওই ক্লিনিকগুলো ভুয়া। সেই ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পরই এমন বেশ কয়েকটি ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। বেশ কয়েকটি বন্ধও করে দেয়া হয়। অনেককে জরিমানাও করা হয়।

সূত্র আরও জানায়, সেই ফেসবুক পোস্টের পর থেকেই বুদ্ধিনাথের কাছে লাখ টাকার প্রস্তাব আসে। এছাড়া তার ফোনে বিভিন্ন হুমকি আসে বলে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

পুলিশ জানায়, বেনিয়াপট্টির কাছে থাকা একটি সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় মঙ্গলবার তার বাড়ির রাস্তাতে কিছুটা দূরে একটি ঘরে যান তিনি। পরে আবার তিনি বাড়িতে ফেরেন। তবে রাতে ফের বাড়ি থেকে বের হোন তিনি। ফুটেজে আরও দেখা যায় লোহিয়া চক এবং বেনিয়াপট্টি থানা পেরিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল তাকে।

এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, রাত ১০টা ১০ মিনিটে বুদ্ধিনাথকে স্থানীয় এক বাজারে দেখেন তিনি। শেষ বারের মতো ওই বাজারেই দেখা গিয়েছিল বুদ্ধিনাথকে। তার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

এদিকে, বুধবার সকালে বুদ্ধিনাথকে খুঁজে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে তার পরিবারের সদস্যরা। খুঁজে না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

অভিযোগ পেয়ে পুলিশ বুদ্ধিনাথের মোবাইলের অবস্থান চিহ্নিত করার চেষ্টা করে। তবে যায় বুধবার সকাল পর্যন্ত সেই ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। একপর্যায়ে বেনিয়াপট্টি থেকে প্রায় ৫ কি:মি দূরে বেতুনে মোবাইলের অবস্থান নিশ্চিত করে পুলিশ। কিন্তু সেখানে পোঁছে সেখানে বুদ্ধিনাথের কোনো খোঁজ মেলেনি।

অবশেষে শুক্রবার বুদ্ধিনাথের ভাতিজার মোবাইলফোনে জানানো হয়ে বেতুনে জাতীয় সড়কের উপর দগ্ধ একটি মরদেহ পড়ে রয়েছে। পরে পরিবারের সদস্যরা সেখানে গিয়ে বুদ্ধিনাথের আংটি, গলার চেন দেখে তাকে শনাক্ত করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ বুদ্ধিনাথের মরদেহ উদ্ধার করে।