চীনে বন্দি সাংবাদিকের মুক্তি দাবি


চীনে বন্দি সাংবাদিকের মুক্তি দাবি

ছবি : সংগৃহীত

 

চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের খবর প্রকাশ করার পর বন্দি সংবাদিক ঝ্যাং ঝানের মুক্তির দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।

পাশাপাশি বন্দি অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হওয়ায় গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন।

৯ নভেম্বর, মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সাংবাদিক ঝ্যাং ঝানের গুরুতর অসুস্থতার খবর প্রকাশ হওয়ার পর চীনের প্রতি এই অনুরোধ জানালো যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বারবার তাকে স্বেচ্ছাচারী আটক ও তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি’। চীনের প্রতি তাকে দ্রুত ও নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানানোর কথাও জানান তিনি।

জানা গেছে, চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সংবাদ সংগ্রহে ছুটে গিয়েছিলেন সাংবাদিক ঝ্যাং। করোনার সংক্রমণ প্রথম প্রকাশ্যে এনে সারা বিশ্বের নজর কেড়েছিলেন তিনি।

কীভাবে সেখানে করোনায় আক্রান্ত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে সে ছবি তুলে ধরেছিলেন ঝ্যাং। আর সে কারণেই কারাগারে যেতে হয় তাকে। সেখানে অনশন ধর্মঘট করে এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন ৩৮ বছর বয়সী সাংবাদিক ও সাবেক আইনজীবী ঝ্যাং ঝান।

২০২০ সালের মে মাসে আটক করার পর ডিসেম্বরে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা উস্কে দেয়ার জন্য তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ভিন্ন মত দমনের জন্যই তাকে এ দণ্ড দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, কারাগারে বন্দি অবস্থায় প্রতিবাদ হিসেবে আমরণ অনশন শুরু করেন ঝ্যাং। এরই মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় কারাগারে কেটে গেছে তার। শারীরিক অবস্থারও ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। তাকে জোর করে টিউবের মাধ্যমে খাওয়ানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি বলে দাবি তার পরিবারের।

এর আগে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য চীনা প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানায়। শুধু ঝ্যাং নয়, উহানের খবর প্রকাশ করতে যাওয়া আরও তিন সাংবাদিক চেন কুইশি, ফ্যাং বিন এবং লি জেহুয়াকেও আটক করেছিল বেইজিং।