সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার


সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার

ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

 

রাজশাহীতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১ নভেম্বর, সোমবার তাদেরকে গ্রেপ্তার করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ।

এর আগে পেশাদার সাংবাদিকদের ওপর রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেস ক্লাবের কয়েকজন সদস্য হামলা করলে ৩১ অক্টোবর, রবিবার রাতে  রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের-আরইউজে সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক বাদী হয়ে নগরের বোয়ালিয়া থানায় ১৪  জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। সে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন ফারুক আহমেদ, রেজাউল করিম, মো. লিয়াকত, মো. রাজন, মাজহারুল ইসলাম চপল, আল-আমিন হোসেন, শাহীনুর রহমান সোনা, আবু কাউসার মাখন, শামসুল ইসলাম, সুমন হোসেন, সুভাষ, হারুনুর রশীদ, সাগর নোমানী ও শাহীন সাগর।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক মো. শাহীন আকতার জানান, সম্প্রতি অনৈতিক কাজের জন্য ফারুকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন একজন শিক্ষা কর্মকর্তা। রেজাউলের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় চাঁদাবাজি ও মারামারির দুটি মামলা আছে। লিয়াকতের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় চাঁদাবাজির একটি মামলা আছে। অন্য আসামিদের মধ্যে মাজহারুল ইসলাম চপলের বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজির বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। সোমবার দুপুরের পর গ্রেপ্তার রেজাউল, লিয়াকত ও ফারুককে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা সোমবার সকালে নগরের শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্বরে আরইউজের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় দৈনিক সানশাইনের স্টাফ রিপোর্টার রাজু আহমেদ, জনকণ্ঠের ফটোসাংবাদিক সেলিম জাহাঙ্গীর, যুগান্তরের ফটোসাংবাদিক আজম খান ও গণধ্বনি প্রতিদিনের ফটোসাংবাদিক কাবিল হোসেনের ওপর হামলা চালান। এ সময় আজম খানের ক্যামেরা এবং রফিকুল ইসলামের জামার পকেট থেকে ১৯ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন হামলাকারীরা। রাজু আহমেদের একটি মুঠোফোনও কেড়ে নিয়ে আছড়ে ভেঙে ফেলেন তারা।

ওই ঘটনার প্রতিবাদে  বেলা ১১টা থেকে বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত কামারুজ্জামান চত্বরে সড়ক অবরোধ করেছিলেন সাংবাদিকেরা। তাঁরা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার এবং তাঁদের প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মনের প্রত্যাহার দাবি করেন। ওসিকে প্রত্যাহারে সাংবাদিকেরা ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে ওসিকে প্রত্যাহার করা না হলে আগামী বুধবার থানা ঘেরাও কর্মসূচি আছে।