বাসের ধাক্কায় সাংবাদিক আহত ঘটনায় চালকের বিচার শুরু


বাসের ধাক্কায় সাংবাদিক আহত ঘটনায় চালকের বিচার শুরু

ছবি : সংগৃহীত

 

বাসের ধাক্কায় বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ইকরাম-উদ দৌলা আহত হওয়ার ঘটনায় তুরাগ পরিবহনের চালক ইকবাল হোসাইনের বিচার শুরু হয়েছে।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর ছিদ্দিক ২৬ অক্টোবর, মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

আদালতে বাদীপক্ষে আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম ও আসামিপক্ষে মো. মকিম মণ্ডল শুনানি করেন। 

এদিন চার্জ গঠনের তারিখ পেছানোর আবেদন করেন আসামি ইকবালের পক্ষে তার আইনজীবী মকিম মণ্ডল ৷ আবেদনের বিরোধিতা করে এসময় বাদীপক্ষে আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম চার্জ গঠনের আর্জি জানান৷ শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। 

এদিন আসামিপক্ষে পূর্বশর্তে জামিন আবেদন করা হয়৷ বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। 

গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর মোটরসাইকেলে করে খিলক্ষেত যাওয়ার সময় লা মেরিডিয়ান হোটেলের সামনে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে পেছন থেকে তুরাগ পরিবহনের একটি বাস ইকরামকে ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতর আহত হোন।

প্রত্যক্ষদর্শী পথচারীদের মতে, খিলক্ষেত লা মেরিডিয়ানের সামনের সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন সাংবাদিক ইকরাম। এসময় পেছন থেকে দ্রুতগতির একটি বাস তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এরপর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে, পরে বাংলাদেশ মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

ইকরামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী মো. সেলিম জানান, পেছন থেকে তুরাগ পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেলটি বাসের সামনের চাকার নিচে চাপা পড়ে। আর সাংবাদিক ইকরাম মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পাশে পড়ে গুরুতর আহত হোন। পরে তাকে বাসের সামনের অংশের নিচ থেকে টেনে বের করা হয়। 

এ ঘটনায় গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক ইকরামের বোন তুরাগ পরিবহনের অজ্ঞাত চালককে আসামি করে খিলক্ষেত থানায় সড়ক পরিবহন আইনের ৯৮ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় গত ১৬ আগস্ট বাস চালক ইকবাল হোনাইনকে অভিযুক্ত করে সড়ক পরিবহন আইনের ১০৫ ধারায় অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম।

এ মামলায় ইকবাল ঘটনার পর ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।