কঠিন হয়ে পড়ছে মিয়ানমারের সাংবাদিকদের জীবন


কঠিন হয়ে পড়ছে মিয়ানমারের সাংবাদিকদের জীবন

ছবি : সংগৃহীত

 

মিয়ানমারের স্থানীয় সাংবাদিকদের জীবন কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। সেদেশের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, সামরিক অভ্যুত্থানের আট মাস পর, দেশটির সাংবাদিকদের জীবন ক্রমশ ‘কঠিন থেকে কঠিনতর’ হয়ে উঠছে।

ক্ষমতা দখল এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই সামরিক বাহিনী খবর সংগ্রহ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

এদিকে, অনেক ক্ষেত্রেই সোস্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এছাড়া, কমপক্ষে পাঁচটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ করায় কয়েক ডজন সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে।

এছাড়াও অনেক সাংবাদিককে ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করতেও বাধ্য করা হচ্ছে। ইয়াঙ্গুনভিত্তিক রেড নিউজ এজেন্সির সাংবাদিক উইন জাও নাইং বলেন, ‘প্রায় সাত মাস ধরে তিনি বাড়ির ভিতরে আটকে থাকায় তাকে অনলাইনে কাজ করতে হচ্ছে।

গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের ফেসবুক গ্রুপ এবং রিপোর্টিং আসিয়ান নামে সংগঠনের তথ্য মতে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমপক্ষে ১০২ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং কমপক্ষে ৪৮ জন এখনও পুলিশী হেফাজতে রয়েছেন।

এদিকে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন গত মার্চ মাসে বলেন, ‘সেনাবাহিনী গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সম্মান করে এবং মূল্য দেয়’।

গত সপ্তাহে আমেরিকান সাংবাদিক ড্যানি ফেনস্টার সম্পর্কে এক বিবৃতিতে মুখপাত্র বলেন, ‘সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে, তারা যদি কেবলমাত্র সাংবাদিকের কাজ করে, তবে তাদের গ্রেপ্তার করার কোনো কারণ নেই’।

গত ২ মে, ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমারের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ফেনস্টার আটক হন।

উইন জাও নাইং বলেন, ‘বস্তুত, মিয়ানমারে সাংবাদিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই। সাংবাদিকদের এখন তাদের গ্রেপ্তার হওয়ার সময় বলতে হচ্ছে যে তারা আর সাংবাদিকতা করছে না’।

এদিকে, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসহ গণমাধ্যম অধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, সামরিক অভ্যুত্থান সেদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এক দশক পিছিয়ে দিয়েছে।