শেষ হলো ১২ দিনের গঙ্গা-যমুনা উৎসব


শেষ হলো ১২ দিনের গঙ্গা-যমুনা উৎসব

ছবি : সংগৃহীত

 

পর্দা নামলো গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবের। ১২ অক্টোবর, মঙ্গলবার শিল্পকলায় অনুষ্ঠিত ১২দিন ব্যাপী এ উৎসব শেষ হয়। নতুন-পুরোনো মিলিয়ে মোট ৩৬টি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে এবারের উৎসবে।

শেষ দিন মঙ্গলবার জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে ঢাকা থিয়েটার মঞ্চায়ন করে ‘একটি লৌকিক অথবা অলৌকিক স্টিমার’, একই সময়ে পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হয় শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্রের ‘তৃতীয় একজন’। স্টুডিও থিয়েটার হলে যাত্রাপালা একাত্তরের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম পরিবেশন করে ‘জয়যাত্রা’।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে প্রতিপাদ্য করে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদ আয়োজিত এ উৎসব শুরু হয় ১ অক্টোবর। এবারের উৎসব উৎসর্গ করা হয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনের সাংস্কৃতিক আয়োজনে ‘খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামের নৃত্যনাট্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস এবং ‘বাঙালি-বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামের আবৃত্তি পরিবেশন করে মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। নাট্যশালার উন্মুক্ত মঞ্চে বাউলগান পরিবেশন করেন বরেণ্য বাউলরা।

জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিসচিব আবুল মনসুর।

উৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক নিপা চৌধুরী, আইটিআই বাংলাদেশ কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক দেবপ্রসাদ দেবনাথ, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজীদ ও অন্যরা। ধন্যবাদ জানান গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদের সদস্যসচিব আকতারুজ্জামান।

মঞ্চনাটক, পথনাটক, মূকাভিনয়, নৃত্যালেখ্য, সংগীত, আবৃত্তি, নৃত্য, ধামাইলগান, গম্ভীরা, বাউলগানসহ নানা আয়োজন নিয়ে এবারের উৎসবে সারা দেশের ১৪০টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শিল্পী অংশ নেন।