পিআইও’র হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত


পিআইও’র হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত

ছবি : বিজেসি নিউজ

 

পটুয়াখালীর দশমিনায় তথ্য চাইতে গিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা-পিআইও’র হাতে এক সাংবাদিক লাঞ্ছিত হয়েছেন। ৬ অক্টোবর, বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা-পিআইও মো. রবিউল হোসেন। লাঞ্ছিত হওয়া সাংবাদিক মো. মামুন তানভীর যুগান্তরের দশমিনা দক্ষিণ প্রতিনিধি ও স্থানীয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।

মামুন তানভীর অভিযোগ করেন, উপজেলার চরবোরহানের ইউপি চেয়ারম্যান নজির সরদারকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে ভিটি ভরাটের জন্য আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে তিনি ১২ জন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ২০-৩০ হাজার করে টাকা নিয়েছেন- এমন অভিযোগ করেছেন চরবোরহান আওয়ামী লীগ নেতা এনায়েত মাস্টার।

টাকা বরাদ্দ দেয়ার সত্যতা জানতে দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-আমিনের সরকারি নম্বরে ফোন করা হলে তার অফিসে যেতে বলেন। তবে সবাই ব্যস্ত থাকায় এসময় তথ্য নেয়ার উদ্দেশ্যে পিআইওর দিকে এগিয়ে যান তিনি।

অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর ঐ সাংবাদিক পিআইওর কাছে গিয়ে, কথা শেষ হলে একটু ডাক দিয়েন বলতে চাওয়ায় পিআইও ফোন কেটে দিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে যান। এসময় তিনি সাংবাদিক মামুন তানভীরকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে লাঞ্ছিত করেন। এছাড়াও প্রকাশ্যে সবার সামনে অপমান করেন তিনি। ঘটনার পর স্থানীয় ইউএনও ও পটুয়াখালী জেলা প্রশাসককে বিষয়টি অবহিত করেন সাংবাদিক।

এদিকে, সাংবাদিককে প্রকাশ্যে গালমন্দ করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে পটুয়াখালী-৩ আসনের এমপি এসএম শাহজাদা বলেন, ‘আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে আছি। পিআইও এমন কাজ করতে পারে না বা তার উচিতও না। যেখানে অপরাধ আছে সেখানে সাংবাদিকের কলম জোরালোভাবে চলবে। পিআইও সাংবাদিকের সঙ্গে যে অশালীন আচরণ করেছে আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই’।

অভিযোগের বিষয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রবিউল হোসেন বলেন, ‘আমি ঐ সাংবাদিকের সঙ্গে কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি। আমি মিটিং থেকে বাহিরে এসে ফোনে কথা বলছিলাম তখন উনি আমার কাছে এসে দাঁড়ালে আমি সরে গিয়ে কথা বলছিলাম। এভাবে তিনবার আমি সরে যাচ্ছি উনি আমার কাছে আসছে। পরে আমি ফোনটা কেটে দিয়ে তাকে বললাম ভাই আপনি এরকম করছেন কেন। আপনি কী আমার কথা রেকর্ড করছেন। আপনার কোনো তথ্য লাগলে আমার অফিসে আসেন। তাছাড়া আপনি তো আমাকে ফোন দিয়ে আসেননি। এটুকুই কথা হয়েছে’।

এ ঘটনার অডিও রেকর্ডিং ঐ সাংবাদিকের কাছে সংরক্ষিত আছে।