ফেসবুকের সাবেক কর্মীর অভিযোগ মিথ্যে : জাকারবার্গ


ফেসবুকের সাবেক কর্মীর অভিযোগ মিথ্যে : জাকারবার্গ

ছবি : সংগৃহীত

 

ফেসবুক শিশুদের ক্ষতি ও গণতন্ত্রকে দুর্বল করছে বলে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেনের করা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।

জাকারবার্গ বলেন, ‘সম্প্রতি ফেসবুক সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণা একটি ‘ভুল চিত্র’ এঁকেছে। আমরা সবসময় নিরাপত্তা, মঙ্গল ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে গুরুত্ব দিই’।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের একটি কমিটির কাছে দেয়া বক্তব্যে ফেসবুকের সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেনের অভিযোগ করেন ফেসবুক ও তাদের অ্যাপগুলো শিশুদের ক্ষতি করছে। একই সঙ্গে বিভেদ বাড়ানোর পাশাপাশি দুর্বল করে দিচ্ছে আমাদের গণতন্ত্রকে।

শুনানিতে ফ্রান্সেস হাউগেন বলেন, ‘ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের কর্তাব্যক্তিরা জানেন যে, কীভাবে এগুলোকে আরও নিরাপদ করা যায়, কিন্তু তারা সেসব পদক্ষেপ নেননি। কারণ তারা জনগণের ভালোর চেয়ে নিজেদের মুনাফার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন’।

গত সোমবার বিশ্বের বহু দেশে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম প্রায় ছয় ঘণ্টা ডাউন থাকা নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই এমন গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন ফ্রান্সেস হাউগেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি যে, ইন্টারনেট থেকে ফেসবুক কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমি জানি না সেটি কীভাবে হয়েছে, কিন্তু পাঁচ ঘণ্টার জন্য হলেও ফেসবুক তাদের বিভক্তি ছড়াতে পারেনি, গণতন্ত্রকে দুর্বল করতে পারেনি এবং নারী ও শিশুদের তাদের শরীর নিয়ে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে পারেনি’, যোগ করেন হাউগেন।

তার কথার বিরোধীতা করে ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে জাকারবার্গ বলেন, ‘অনেক দাবির কোনো মানেই হয় না। যদি আমরা গবেষণার ফলকে অবহেলাই করতে চাইতাম, তা হলে কি আমরা এ ধরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু বোঝার জন্য গবেষণা করতাম? যদি আমরা ক্ষতিকর কনটেন্টের বিষয়ে লড়াই না করতাম, তা হলে কি আমরা অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানের তুলনায় এটি ঠেকাতে এতো কর্মী নিয়োগ করতাম? আমাদের চেয়ে কি কেউ এতো বেশি কর্মী এই কাজে নিয়োগ দিয়েছে?’

জাকারবার্গ বলেন, ‘আমরা যা কিছু তৈরি করছি, সেখানে শিশুরা যাতে নিরাপদ থাকে এবং তাদের জন্য ক্ষতিকর না হয়, এটি আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি ব্যক্তিগতভাবে এর পেছনে সময় দিয়েছি’।

ফেসবুক বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। প্রতিষ্ঠানটির দেয়া তথ্যমতে, বর্তমানে মাসে ২৭০ কোটির মতো ব্যবহারকারী রয়েছে তাদের। লাখ লাখ ব্যবহারকারী ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো কোম্পানির অন্যান্য পণ্য ব্যবহার করে।