জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক ল্যারি কিং সংকটাপন্ন


জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক ল্যারি কিং সংকটাপন্ন

যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টেলিভিশন উপস্থাপক ল্যারি কিং করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত। লস অ্যাঞ্জেলেস হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো।

এবিসি নিউজ ও তাঁর সাবেক কর্মস্থল সিএনএনকে তাঁর পরিবারর ঘনিষ্ঠসূত্রগুলো জানিয়েছে,ে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন তিনি।

ল্যারি ফোরিডার স্থানীয় সাংবাদিক হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করেন। ১৯৫০-এর দশক থেকে কাজ করেন রেডিও ইন্টারভিউয়ার হিসেবে। ১৯৭০-এর দশকে তিনি রেডিও উপস্থাপক হিসেবে দুর্দান্ত খ্যাতি অর্জন করেন।

দীর্ঘ ছয় দশকের বেশি সময়ের পেশাজীবনে নানা রকমের স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে পিবডি ও অ্যামি অ্যাওয়ার্ডও।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় হৃদ্‌রোগসহ বিভিন্ন ধরনের অসুখে আক্রান্ত হয়েছেন ল্যারি কিং (৮৭)। তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে পরিবারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। ল্যারির হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর প্রথম প্রকাশ করে বিনোদন পত্রিকা শোবিজ ৪১১। খবরে বলা হয়, তিনি আইসোলেশনে আছেন এবং পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না।

সত্তরের দশকে ল্যারি কিং বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক ‘মিউচুয়াল ব্রডকাস্টিং সিস্টেম’-এ রেডিও অনুষ্ঠান ‘দ্য ল্যারি কিং শো’ করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এরপর ১৯৮৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সিএনএনে ‘ল্যারি কিং লাইভ অন সিএনএন’ নামের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। রাজনীতিবিদ, ক্রীড়াবিদ, বিনোদনজগতের তারকা, ষড়যন্ত্র তত্ত্বের প্রবক্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজনদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তিনি।

ল্যারি কিং ইউএসএ টুডে পত্রিকায় ২০ বছরের বেশি সময় ধরে একটি কলাম লিখে গেছেন। অতি সম্প্রতি রাশিয়ার সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম হুলু ও আরটিতে ‘ল্যারি কিং নাউ’ নামে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন তিনি।

দীর্ঘ পেশাজীবনে এই গুণী উপস্থাপক ও সাক্ষাৎকারগ্রহীতা ডায়াবেটিস, প্রদাহ, হার্ট অ্যাটাক ও ফুসফুসের ক্যানসারের মতো জটিল শারীরিক সমস্যা মোকাবিলা করেছেন। গত বছর কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে তাঁর দুই ছেলে মারা যান। এক ছেলে মারা যান হার্ট অ্যাটাকে এবং অন্য ছেলে ফুসফুসের ক্যানসারে।

ল্যারি কিংয়ের জন্ম ১৯৩৩ সালের ১৯ নভেম্বর নিউ ইয়র্কে। তাঁর বাবা ছিলেন একজন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী। আর মা বেলারুশ থেকে আসা এক পোশাকশিল্প কর্মী।