পাকিস্তানে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের তালেবানের হুমকি


পাকিস্তানে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের তালেবানের হুমকি

ছবি : সংগৃহীত

 

পাকিস্তানে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের শাসিয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। যে বা যারা তাদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যা দেবে, তারা শত্রু হিসেবে গণ্য হবে বলেও সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। এনডিটিভি সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

৭ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার টিটিপি এই ঘোষণা দেয়। সেদিনই পাকিস্তানের প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানে অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা করেছে সেখানকার তালেবান।

টিটিপির মুখপাত্র মোহাম্মদ খুরাসানি গত ৬ সেপ্টেম্বর, সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, টিটিপি গণমাধ্যমে আসা খবরাখবর দেখছে। যেসব গণমাধ্যম টিটিপিকে ‘সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদী’ হিসেবে অভিহিত করছে, তাদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে।

টিটিপি পাকিস্তানে একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। শুধু পাকিস্তানেই নয়, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও টিটিপিকে নিষিদ্ধ জঙ্গি বা সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়ে আসছে। তবে এ নিয়ে টিটিপি এখন ঘোর আপত্তির কথা জানিয়েছে।

মোহাম্মদ খুরাসানির বরাত দিয়ে পাকিস্তানের দ্য ডন পত্রিকার খবরে বলা হয়, টিটিপির মুখপাত্র বলেছেন, তাদের সংগঠন সম্পর্কে যেসব গণমাধ্যম ও সাংবাদিক এই ধরণের বিশেষণ (সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদী) ব্যবহার করছে, তারা আসলে একপেশে আচরণ করছে। এই ধরণের বিশেষণ ব্যবহার করে গণমাধ্যম বা সাংবাদিকেরা তাদের পেশাগত দায়িত্বের প্রতি অসততার পরিচয় দিচ্ছে। তারা নিজেদের জন্য শত্রু তৈরি করছে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

গণমাধ্যমের উচিত তাদের সংগঠনকে শুধু ‘তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান’ নামে অভিহিত করা এমন মন্তব্য করেন মোহাম্মদ খুরাসানি।

২০০৭ সালে পাকিস্তানি তালেবানের যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তারা বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে আসছিল। এরপর ২০০৮ সালের আগস্টে টিটিপিকে নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান সরকার।

টিটিপির প্রথম প্রধান ছিলেন বাইতুল্লাহ মেহসুদ। ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত হোন তিনি।

এখন পর্যন্ত পাকিস্তানে অনেক সাংবাদিক সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়ে হতাহত হয়েছেন। কেউ কেউ হয়েছেন অপহৃত। যদিও এসব ঘটনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।