সাংবাদিক বানানোর প্রলোভনে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২


সাংবাদিক বানানোর প্রলোভনে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২

ছবি : সংগৃহীত

 

যশোরের অভয়নগরে সাংবাদিকতার কার্ড করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের দৃশ্যধারণ করে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ৭ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার সকালে অভয়নগর থানায় ধর্ষণ ও পর্নগ্রাফি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এরইমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মাহবুবুর রহমান ও অনিক বাঘা নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহারে ওই ছাত্রীর মা উল্লেখ করেন, ছোট বেলা থেকে মেয়েটির সাংবাদিকতা করার শখ। এটা জানতে পেরে মাহাবুবুর রহমান তাকে সাংবাদিকতার কার্ড করে দেয়ার প্রলোভন দেখায় এবং তার কাছ থেকে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও জন্মনিবন্ধনের কার্ড নেয়।

এরপর মাহাবুবুর মেসেঞ্জারে মেয়েকে সাংবাদিকতার ফরমপূরণ করার জন্য চলিশিয়া গ্রামে তার বাসায় যাওয়ার জন্য বলে। গত ২১ আগস্ট দুপুর দেড়টার দিকে ওই শিক্ষার্থী মাহাবুবের বাসায় গেলে তাকে ধর্ষণ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। ঘটনাটি কাউকে জানালে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, কিছুদিন পর ভিডিও ডিলিট করার কথা বলে মাহাবুবুর ও অনিক বাঘা ওই মেয়েকে আবারও ধর্ষণ করেন। এসময় ওই স্কুলছাত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। ৭ সেপ্টেম্বর, সোমবার অনিক বাঘা ওই মেয়ের বাবাকে ফোন করে চাঁদার ৫০ হাজার টাকা পরিশোধের চাপ দেয়। নইলে ভিডিও ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দেয়।

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম শামিম হাসান গ্রেপ্তার ও মামলার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের চিত্র-ভিডিও করায় ধর্ষণ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মাহবুবুর রহমান ও অনিক বাঘা নামের দুইজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।