মুক্তি পেয়ে গেল পার্ল হত্যার মূল আসামী


মুক্তি পেয়ে গেল পার্ল হত্যার মূল আসামী

সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল হত্যাকাণ্ডের মূল আসামীকে মুক্তি দিয়েছে পাকিস্তান আদালত। ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার মামলার রায়ে মুক্তি দেওয়া হয়ে আহমেদ ওমর সাইদ শেখকে। 

এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আমেরিকা।

মার্কিন পত্রিকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক ছিলেন ড্যানিয়েল পার্ল। তিনি খবরের কাগজের দিল্লি অফিসের দায়িত্বে ছিলেন। দিল্লিতেই থাকতেন। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লি থেকে করাচি গিয়েছিলেন পার্ল। আইএসআই ও আল কায়দার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্টের জন্য কাজ করছিলেন তিনি। ২০০২ সালের গোড়ায় তাঁকে অপহরণ করা হয়। এবং পরে হত্যা করা হয়। 

পার্লের গলা কাটা দেহের ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। ওই ছবি দেখিয়ে জঙ্গিরা নিজেদের শক্তি প্রচার করেছিল।

গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিল পার্ল হত্যাকাণ্ড। পাকিস্তান সরকারের ওপর হত্যাকারীদের গ্রেফতারের চাপ বাড়ছিল। ঘটনার কিছুদিন পরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার হন শেখ। তাঁর সঙ্গে আরো তিনজনকে একই মামলায় গ্রেফতার করা হয়।

কয়েক মাস আগে পাকিস্তানের একটি আদালত শেখকে নির্দোষ বলে রায় দেয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট শেখের মুক্তি স্থগিত রাখে। শেষ পর্যন্ত মুক্তি মিলল শেখের। 

তবে পার্লের পরিবার এবং পাক সরকার ফের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তার শুনানি হওয়ার কথা। 

এদিকে, পার্ল হত্যা মামলার এই রায়ের পরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে অ্যামেরিকা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও টুইটে লিখেছেন, 'পার্লকে আমরা ভুলবো না। তাঁর হত্যার বিচারের জন্য যত দূর করা সম্ভব করা হবে'।

তবে শেখই পার্লের আসল হত্যাকারী কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। পার্ল হত্যার নয় বছর পরে তার সহকর্মী আসরা নোমানি এবং জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক যৌথভাবে একটি তদন্ত চালান। তাতে দেখা যায়, পার্ল হত্যায় ভুল লোকেদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বস্তুত, এর আগে এই ঘটনায় শেখের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিল পাকিস্তানের আরেকটি আদালত। তারপরেই ওই তদন্ত হয়। 

নোমানিদের দাবি, পার্লের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল খালিদ শেখ মুহম্মদ। ৯/১১ ঘটনায়ও সে জড়িত। বস্তুত আগেই তাকে পাকিস্তান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আপাতত সে আছে গুয়ানতানামো বে কারাগারে। তবে নোমানিদের দাবির সত্যতা প্রমাণিত নয়।

 

খবর সূত্র: ডয়েচে ভেলে