'মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড' পেলেন ১৩ সাংবাদিক


'মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড' পেলেন ১৩ সাংবাদিক

বাংলাদেশের অভিবাসন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখায় এ বছর ‘মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’পেলেন ১৩ সাংবাদিক এবং ১টি প্রতিষ্ঠান। আজ ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের হেড অব কো-অপারেশন মাউরিজিও কিয়ান, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর বাংলাদেশের চীফ অব মিশন গিওরগি গিগাওরি, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, সিনিয়র ডিরেক্টর কেএমএম মোর্শেদ এবং মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান। 

এ বছর সংবাদপত্র জাতীয় বিভাগে ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজ-এর ওয়াসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, দৈনিক প্রথম আলোর মোঃ মহিউদ্দিন ও দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের আরাফাত আরা।

সংবাদপত্র (আঞ্চলিক) ক্যাটাগরিতে বিজয়ীরা হলেন- সিলেটের দৈনিক জালালাবাদ-এর আবু তাহের মোঃ তুরাব, দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের ফারুক মুনির এবং দৈনিক ফেনীর সময়-এর মোঃ এমদাদ উল্লাহ।

টেলিভিশন বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে,ন ডিবিসি নিউজের সাবিনা ইয়াসমিন, যমুনা টেলিভিশনের সালাউদ্দিন আহমেদ এবং নিউজ টোয়েন্টিফোরের টিভির আশিকুর রহমান। 

অনলাইন সংবাদপত্র বিভাগে পুরষ্কার জিতেছেন, প্রথম আলো অনলাইনের মানসুরা হোসাইন, তুরস্ক ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আনাদুল এজেন্সীর ফ্রিল্যান্স রিপোর্টার কামরুজ্জামান এবং বাংলা ট্রিবিউনের সাদ্দিফ সোহরাব।

সাংবাদিকদের পাশাপাশি অভিবাসন খাতে অবদান রাখার প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে এ বছর সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বিভাগে পুরষ্কার চালু করা হয়। এই বিভাগে একমাত্র পুরষ্কারটি পেয়েছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম "প্রবাস কথা"।

অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার হিসেবে ক্রেস্ট, স্বীকৃতির সনদ এবং পুরষ্কারের অর্থমূল্যের চেক তুলে দেন।

এ  সময় মন্ত্রী বলেন, ‘অভিবাসন খাতে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে মিডিয়াসহ সবারই একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন। যে কোন সচেতনতা তৈরিতে মিডিয়া ব্যাপক ভূমিকা রাখে বলেও মন্তব্য করেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশ-এর কো-অপারেশন হেড মাউরিজিও চিয়ান বলেন, 'অভিবাসন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে যেসব প্রতিকূলতা রয়েছে তা চিহ্নিত করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অভিবাসন খাতে সাংবাদিকদের অবদানকে আমরা সবসময় প্রশংসার সঙ্গে স্বীকার করে থাকি"।

আইওএম বাংলাদেশের চিফ অফ মিশন গিওরগি গিগাওরি বলেন, 'মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড নিরাপদ অভিবাসনকে তরান্বিত করতে বিদেশ ফেরত অভিবাসী কর্মীদেরকে টেকসই, পুনঃএকত্রীকরণ প্রক্রিয়াকে নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের অভিবাসন ক্ষেত্রে সুশাসনকে উন্নত করবে'।       

ব্র্যাক-এর নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, 'যদি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করে তাহলে আমরা অভিভাসন ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করতে পারি। গণমাধ্যম আমাদের অংশীজনদের মধ্যে অন্যতম। গণমাধ্যম আমাদের নিরাপদ অভিবাসনের প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনাসমূহকে সনাক্ত করতে সহযোগিতা করে থাকে'।

সাংবাদিকদের কাছ থেকে পাওয়া প্রতিবেদনগুলো প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ এবং সাংবাদিকতার শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি জুরিবোর্ড মূল্যায়ন করে। এ বছর জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব জনাব শেখ মোহাম্মদ রেফাত আলী, রাহনুমা সালাম খান এবং নিউজ টোয়েন্টিফোরের  প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নি।