খাসোগি হত্যা: সৌদির বিরুদ্ধে কড়া নয় আমেরিকা


খাসোগি হত্যা: সৌদির বিরুদ্ধে কড়া নয় আমেরিকা

সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার জেরে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আছেন কি না, তা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। 

সোমবার ‘দ্য গার্ডিয়ান’ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায়।

সৌদির সাংবাদিক খাসোগিকে হত্যার ঘটনায় গত শুক্রবার দেশটির ৭৬ জন নাগরিকের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, নিষেধাজ্ঞার এই তালিকায় সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আছেন কি না, তা বলবেন না।

কিছু দিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টেলিফোনে কথা বলেন সৌদি রাজা সালমানের সঙ্গে। সেখানে মানবাধিকারের বিষয়ে জোর দিয়ে নাম উল্লেখ না করে করে সাংবাদিক খাসোগি হত্যার প্রসঙ্গে কথা বলেছিলেন বাইডেন। 

এরপরেই তারা একটি গোপন গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ করে। যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, খাসোগি হত্যার সঙ্গে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের যোগ আছে। ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরে অনেকেই মনে করেছিলেন, আমেরিক সৌদির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু বাস্তবে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি দেশটি।

খাসোগি হত্যায় যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করা হলেও তাঁকে কোনো শাস্তি না দেওয়ায় বাইডেন প্রশাসন সমালোচিত হচ্ছে। ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ এক সম্পাদকীয়তে বলে, সৌদির যুবরাজের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কঠোর হওয়া উচিত।

সৌদির যুবরাজ বিন সালমান ও সৌদির রাজপরিবারের কড়া সমালোচক ছিলেন খাসোগি। তিনি তাঁর বিয়ের জন্য কাগজপত্র আনতে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে যান। সেখানে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাঁর লাশ কেটে টুকরা টুকরা করে গায়েব করে দেওয়া হয়। এখনও তাঁর দেহাবশেষ পাওয়া যায়নি।মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট বলছে, তাকে যারা হত্যা করেছিল, তারা সৌদির বিশেষ ফোর্সের সদস্য। একমাত্র যুবরাজের কাছেই তারা জবাবদিহি করে। 

সৌদি আরব প্রথমে খাসোগি খুন হওয়ার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করে। খাসোগিকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে শুরু থেকেই মোহাম্মদ বিন সালমানকে সন্দেহ করা হয়। এই হত্যায় তাঁর সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করলেও সৌদির শাসক হিসেবে এই হত্যার দায় এড়াতে পারেন না বলে স্বীকার করে নেন প্রিন্স মোহাম্মদ।

খাসোগি হত্যার দায়ে সৌদির আদালত দেশটির পাঁচজন নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে তাঁদের সাজা কমিয়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।